নিজস্ব চিত্র
আলাপন সাহা: ইডেনে সিএবি আয়োজিত প্রথম ডিভিশন লিগের ফাইনালের তৃতীয় দিনেও নাটক অব্যাহত। ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুর ক্লাবের ম্যাচে যা ঘটল, তা দেখে হতবাক ক্রিকেট ভক্তরা। সোমবার ম্যাচ পিছিয়ে গিয়েছিল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। আর মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল এক ঘণ্টায় মাত্র সাড়ে তিন ওভার করার মতো ঘটনাও ঘটল।
তৃতীয় দিনেও ম্যাচের রাশ ভবানীপুর ক্লাবের হাতেই। শাকির হাবিব গান্ধির ডবল সেঞ্চুরি সুবাদে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়েছে তারা। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয় দুপুর একটা নাগাদ। সাধারণত এক ঘণ্টায় ১৫ ওভার হওয়ার কথা। তবু গরমের কারণে ধরে নেওয়াই যেতে পারে ১২-১৩ ওভার হওয়া উচিত। কিন্তু শুনতে অদ্ভুত লাগলেও প্রথম এক ঘণ্টায় হল মাত্র সাড়ে তিন ওভার। ম্যাচের মাঝে দেখা যায়, ইস্টবেঙ্গল প্লেয়াররা প্রায়ই ‘চোট’ পাচ্ছেন। ‘বিশ্রাম’ নিচ্ছেন। অকারণে বল ছুড়ে ‘সময় নষ্ট’ করছেন। এভাবেই প্রথম ঘণ্টায় মাত্র সাড়ে তিন ওভার! বিস্মিত হচ্ছেন ক্রিকেট ভক্তরা। সব মিলিয়ে প্রথম তিন ঘণ্টায় হয় মাত্র ১৩ ওভার।
ভবানীপুর এই মুহূর্তে রানের পাহাড়ে। এখান থেকে প্রত্যাবর্তন করা কার্যত অসম্ভব ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। ভবানীপুর ক্লাবের কর্তা সম্রাট ভৌমিকের মতে, এভাবে সময় নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “এটা ক্রিকেট হচ্ছে না। এরকম মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলে কীভাবে? আমি গত ১৬-১৭ ওভার কলকাতা ময়দানের সঙ্গে যুক্ত। এক ঘণ্টায় তিন ওভার, এরকম ঘটনা দেখিনি। ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করছে। ওদের পরিকল্পনা, এভাবে সময় নষ্ট করে যদি যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়। এটা খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। একেবারেই অপেশাদার আচরণ।”
ঘটনা হচ্ছে, সোমবারও এই ম্যাচ নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের খেলার শুরুতেই আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে যা ঘটে, তা বোধহয় কলকাতা ময়দানে কখনও দেখা যায়নি। ভবানীপুরের শাকির হাবিব গান্ধীর একটি ক্যাচের দাবিকে আম্পায়ার ‘নট আউট’ দেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে না পেরে, মাঠ থেকেই বেরিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেটাররা। খেলা বন্ধ রইল পাঁচ ঘণ্টা! একসময় তো খেলা আর হবে কিনা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল জল্পনা। শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সন্ধে ছ’টা দশ নাগাদ ফের খেলা শুরু হলেও এদিন যা হল, তা বোধহয় ময়দানের ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে। আর মঙ্গলবারও নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল ইডেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.