Advertisement
Advertisement
শাকিব আল হাসান

আমেরিকায় সেল্‌ফ আইসোলেশনে শাকিব, দেখা করছেন না স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গেও

দেখুন ভিডিওতে কী জানালেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

Bangladeshi all-rounder Shakib Al Hasan is in Self quarentine
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:March 22, 2020 9:37 pm
  • Updated:March 22, 2020 9:37 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। যে কারণে এবার সেল্‌ফ আইসোলেশনে চলে গেলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান।

Advertisement

সম্প্রতি বিমানে চেপে মার্কিন মুলুকে উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই জন্যই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে নিজের উদ্যোগেই ১৪ দিনের ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন’ গ্রহণ করেছেন তিনি। এমনকী মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করছেন না। শনিবার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। শাকিব বলেন, “আমি খানিক আগেই আমেরিকা এসে পৌঁছলাম। বিমান থেকে নামার পর একটু হলেও ভয় করছিল। তাও চেষ্টা করেছি কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।

[আরও পড়ুন: বানচাল নাশকতার ছক, ভারতে অনুপ্রবেশের আগেই ধৃত নব্য JMB’র শীর্ষনেত্রী]

শাকিব বলেন, “আমেরিকায় পা রেখেই সোজা একটি হোটেলে গিয়ে উঠি। হোটেল কর্তৃপক্ষে জানাই আমি এখানে থাকব কিছুদিন। যেহেতু বিমানে এসেছি, একটু হলেও ঝুঁকি আছে আমার। সেই জন্য নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি।” মেয়ের সঙ্গেও দেখা করেননি বর্তমানে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত তারকা। শাকিবের কথায়, “এই একই কারণে বাচ্চার সঙ্গে দেখা করিনি। এখানে এসেও ওর সঙ্গে দেখা না করাটা আমার জন্য খুব কষ্টকর। তারপরও আমার মনে হয় এই সামান্য ধৈর্য দেখাতে পারলে অনেক দূর এগোতে পারব।” অনেকেই বিদেশ থেকে ফিরে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে না থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে তাঁদের থেকে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সেলেবরাও নিয়ম ভাঙছেন। ভারতীয় বক্সার মেরি কমই যেমন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে না থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন। নিয়ম ভেঙেছেন টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় থেকে বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুরও। সেই জায়গায় একজন সচেতন নাগরিক হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

বিদেশ ফেরতদের উদ্দেশে শাকিব বলেন, “যদি কেউ বিদেশ থেকে ফিরে থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঘরে রাখুন। সেই ব্যক্তি ঘর থেকে যাতে বাইরে না বেরোন, সেদিকে খেয়াল রাখুন। একই সঙ্গে আরেকটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে, যেন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এসে আপনার সঙ্গে দেখা করতে না পারেন। ১৪ দিন আপনার ঘরে থাকাটা খুবই জরুরি। যেহেতু আমাদের সময়টা ভাল যাচ্ছে না, আমি সবাইকে অনুরোধ করব- সবাই যেন সব নিয়ম মেনে চলেন। কারণ আমাদের এই সামান্য আত্মত্যাগটুকুই পারে আমাদের পরিবারকে রক্ষা করবে। সুস্থ রাখতে, আমাদের নিজেদেরও সুস্থ থাকতে হবে। আশা করি, আপনারা আমার এই কথাগুলো শুনবেন এবং কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।” আতঙ্কিত না হতে এবং আতঙ্ক না ছড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছেন অলরাউন্ডার।

[আরও পড়ুন: অদৃষ্টের পরিহাস! জেলে বসেই জন্মদিন সেলিব্রেট বিশ্বকাপ জয়ী রোনাল্ডিনহোর]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement