Advertisement
Advertisement
Asia Cup 2025

এশিয়া কাপ থেকে বিদায় আফগানদের! শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

ম্যাচ নিয়ে গেলেন 'শিট অ্যাঙ্কর' কুশল মেন্ডিস।

Asia Cup 2025: Sri Lanka beats Afghanistan
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 18, 2025 11:48 pm
  • Updated:September 19, 2025 12:00 am  

আফগানিস্তান: ১৬৯/৮ (নবি ৬০, রশিদ ২৪, থুসারা ১৮/৪)
শ্রীলঙ্কা: ১৭১/৪ (কুশল মেন্ডিস অপরাজিত ৭৪, কুশল পেরেরা ২৮, কামিন্ডু মেন্ডিস অপরাজিত ২৬)
শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটাই ছিল তাদের ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপে এবারের মতো শেষ হল আফগানিস্তানের অভিযান। শ্রীলঙ্কা আগেই সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল স্রেফ হারের ব্যবধান যে বড় না হয়ে যায়। তা তো হলই না। বরং চমৎকার জয় পেল তারা। হেলায় হারিয়ে দিল ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’কে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে চলে গেল বাংলাদেশ। 

এদিন আফগানিস্তান টসে দিতে ব্যাটিং নিলেও সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি টপ অর্ডার। বরং একটা সময় মনে হচ্ছিল, খুবই কম স্কোরে শেষ করবে তারা। শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। গুরবাজ (১৪), করিম (১), সাদিকুল্লা (১৮), রাসুলি (৯) ও ওমারজাই (৯) ফিরে যান ৭১ রানে। প্রায় ১২ ওভার হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। অর্থাৎ রীতিমতো খারাপ রানরেট। উলটে উইকেটও পড়ছে হু হু করে। নুয়ান থুসারা (১৮/৪) একাই আফগান টপ অর্ডারকে শুইয়ে দেন। দুষ্মন্ত চামিরা কিংবা ওয়েল্লালাগেরা কিন্তু রীতিমতো প্রহৃত হলেন। আসলে শেষদিকে মহম্মদ নবি একাই লড়াইটা বিরোধী শিবিরে পৌঁছে দিলেন। সেই সময় ওই দুই বোলারকেই তিনি প্রচণ্ড পেটান। এর মধ্যে আলাদা করে বলতেই হয় ওয়েল্লালাগের কথা। ফাইনাল ওভারে তাঁকে পরপর পাঁচটি ছয় মারলেন নবি। শেষ বলে ছয় মারলে ছয় ছক্কার নজির গড়তে পারতেন। কিন্তু রানআউট হয়ে গেলেন ২২ বলে ৬০ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে। এর মধ্যে ছিল মোট হাফ ডজন ওভার বাউন্ডারি এবং তিনটি চার! অধিনায়ক রশিদ খান করলেন ২৩ বলে ২৪। শেষপর্যন্ত আফগানরা ২০ ওভারে শেষ করে ১৬৯ রানে।

জবাবে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই চাপে পড়তে থাকে। কুশল মেন্ডিস আক্রমণাত্মক মেজাজে খেললেও নিসাক্কা (৬) ও কামিল মিশ্র (৪) কেউই দাঁড়াতে না পারায় ক্রমেই চাপ বাড়ে। কুশল পেরেরা ২০ বলে ২৮ করে গেলেও আচমকাই ফিরলেন খোঁচা মেরে। স্কোর তখন ৯২/৩। অধিনায়ক আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে লাগলেন কুশল মেন্ডিস। তিনি অর্ধশতরান পেলেন। কিন্তু চাপ ক্রমেই বাড়াচ্ছিল আফগানরা। এর মধ্যেই আসালাঙ্কাও তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন। স্কোর তখন ১১৯। বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন রশিদ। আস্কিং রেট ততক্ষণে প্রায় দশ! ম্যাচ যত এগোচ্ছিল তত যেন বাড়ছিল উত্তেজনা। কেবল আফগান সমর্থকরাই নন, অন্যদিকে টেনশন করছিলেন স্টেডিয়ামে হাজির বাংলাদেশের সমর্থকরাও। তাঁদের এশিয়া কাপ-ভাগ্য সম্পূর্ণ ভাবেই ছিল আফগানদের হাতে! শেষে এসে যত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার আধিপত্য বাড়তে থাকে তাঁদের মুখও তত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৪২ রান। কিন্তু সেই ওভারেই যেন খেলাটা পকেটে পুরে ফেলে শ্রীলঙ্কা। একটি ছক্কা ও চার মিলিয়ে সেই ওভারে ওঠে ১৭। এরকমই একটা বড় ওভারের যেন দরকার ছিল। শেষপর্যন্ত ৮ বল বাকি থাকতেই দুরন্ত জয় পেল শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ নিয়ে গেলেন ‘শিট অ্যাঙ্কর’ কুশল মেন্ডিস (অপরাজিত ৭৪, ১০x৪)। নিঃসন্দেহে ছোট্ট কিন্তু জরুরি ইনিংস খেললেন কামিন্ডু মেন্ডিসও (অপরাজিত ২৬, ২x৬)।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement