Advertisement
Advertisement
India Cricket Team

পাক-বধে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা, অভিষেক অস্ত্রে সুপার ফোরেও ভারতের কাছে দুরমুশ পাকিস্তান

প্রতিশ্রুতি মতো ভারতবাসীকে সুন্দর রবিবার উপহার দিলেন সূর্যরা।

Asia Cup 2025: India Cricket Team wins against Pakistan in Super Four
Published by: Arpan Das
  • Posted:September 21, 2025 11:59 pm
  • Updated:September 22, 2025 12:05 am   

পাকিস্তান: ১৭১/৫ (সাহিবজাদা ৫৮, শিবম ৩৩/২, কুলদীপ ৩১/১)
ভারত: ১৭৪/৪ (অভিষেক ৭৪, শুভমান ৪৭, হ্যারিস ২৬/২)
ভারত ৬ উইকেটে জয়ী।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা দিয়েছিলেন, ভারতবাসীকে একটা সুন্দর রবিবার উপহার দেবেন। কথা রাখলেন সূর্যকুমার যাদব। ব্যাট হাতে তিনি খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। তার খুব একটা দরকারও পড়েনি। শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা, দুই অস্ত্রেই ফের ঘায়েল পাকিস্তান। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব হোক বা সুপার ফোর, ছবিটা একই থাকল। দুবাই স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ বল বাকি থাকতে ভারত জিতল ৬ উইকেটে। ভারতের সুপার ফোর অভিযান ও দেবীপক্ষ, দুটোরই শুভ সূচনা হল পাকিস্তানকে হারিয়ে।

গ্রুপ পর্বে সলমন আলি আঘাদের ব্যাটিংয়ের যে দুরবস্থা ছিল, তার থেকে অবশ্য এদিন একটু উন্নতিই চোখে পড়ল। তবে কুলদীপ যাদব, অভিষেক শর্মারা একাধিক সহজ ক্যাচ মিস না করলে অনেক আগেই গুটিয়ে যায় পাক ব্যাটিং। তাছাড়া বল হাতে ব্যর্থ জশপ্রীত বুমরাহ। তবু পাকিস্তানকে এদিন একটু সাহসী দেখাল। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু শুরু থেকেই ঝোড়ো মেজাজে ব্যাট করেন সাহিবজাদা ফারহানরা। মাত্র ৯ বলে ১৫ রান করে ফখর জামান পাক ব্যাটিংয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়ে যান। চলতি এশিয়া কাপে একটাও রান না করা আয়ুব এদিন তিন নম্বরে নেমে ২১ রানের ইনিংস খেলেন। পাক মিডল অর্ডারের কেউ সেই অর্থে বড় রান না করলেও ছোট ছোট ক্যামিও খেলে রানের গতি অব্যাহত রাখেন। সলমন আঘা (১৭), হুসেইন তালাত (১০), মহম্মদ নওয়াজদের (২১) পর মারকুটে ব্যাটিং করেন ফাহিম আশরাফ (২০)। অন্যদিকে ৪৫ বলে ৫৮ রান করেন ওপেনার ফারহান। দলের সমবেত প্রচেষ্টায় ১৭১ পর্যন্ত পৌঁছে যায় পাকিস্তানের স্কোর।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক ম্যাচ এতটাই একতরফা হয়েছে যে, এই রানটাও লড়াকু বলে মনে হতে পারে। সেটা যে একেবারেই নয়, তা ভারতের ব্যাটিংয়ের প্রথম বলেই বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক। শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম বলটাই গিয়ে পড়ল দর্শকদের মধ্যে। তারপর থেকে সেটাই লেখা রইল অধিকাংশ বলে। কোনওটা চার, তো কোনটা ছয়। কোনও বার অভিষেক, তো কোনও বার শুভমান গিল। কে আগে হাফসেঞ্চুরি করবেন, সেটা নিয়ে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় দুই বন্ধুর মধ্যে। তাতে অবশ্য জিতলেন অভিষেক। আর সেখানে ৪৭ রানে আউট হন গিল। তবে ততক্ষণে পাক বোলাররা ধরাশায়ী। দুজনের জুটিতে ১০৫ রান। হ্যারিস রাউফদের একসময় শাসন করতেন ‘কিং’ কোহলি, এখন করেন ‘প্রিন্স’ গিল।

গিল আউট হওয়ার পর সূর্যও দ্রুত ফিরে যান। তিনি হয়তো একটু ধরে খেলতে পারতেন। কিন্তু রানের গতি কমাতে চাননি। অভিষেকও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আউট হলেন। ১৩তম ওভারে আবরারকে ছক্কা মারার পরের বলেও শান্ত হননি। তবে এবার গুগলিটা ঠিকমতো ধরতে পারেননি।  ৭৪ রানের মাথায় হ্যারিস রাউফের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ভারত একাধিক ক্যাচ মিস করলেও পাকিস্তান সেটা করেনি। তবে অভিষেক যখন ফিরছেন, তখন ভারতের জিততে আর মাত্র ৪৬ রান বাকি। ওমান ম্যাচের নায়ক সঞ্জু স্যামসন আউট হন ১৩ রানে। বাকি কাজটা শেষ করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া ও তিলক বর্মা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জিতল টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানকে হারাতে খুব একটা বেগ না পেতে হলেও ভারতকে চিন্তায় রাখবে দুটি বিষয়। প্রথমত ক্যাচ মিস, দ্বিতীয়ত মিডল অর্ডারের সেই পুরনো রোগ। সেটুকু ঠিক করে নিতে পারলেই কিন্তু অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন সূর্যরা। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ