প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনগ্রহী জীবদের নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই এই দুনিয়ায়। ছায়াপথের ওপারে, ব্রহ্মাণ্ডের সুদূর কোনও এক নাম না জানা জায়গা থেকে পিরিচের মতো দেখতে অত্যাধুনিক মহাকাশযানে চেপে মাঝেমধ্যেই পৃথিবীতে আসে তারা! আর অনেকেই নাকি তাদের দেখতে পেয়েছে। এই ‘প্রত্যক্ষদর্শী’দের তালিকায় নাম রয়েছে মার্কিন ফৌজের পাইলটদেরও। ফলে এই বিষয়ে সদ্য একটি রিপোর্ট পেশ করেছে ওয়াশিংটন।
A US govt report on UFOs said defence & intelligence analysts lack sufficient data to determine the nature of mysterious flying objects observed by American military pilots including whether they are advanced earthly technologies: Reuters
Advertisement— ANI (@ANI)
রয়টার্স সূত্রে খবর, মার্কিন যুদ্ধবিমানের পাইলটদের UFO দর্শন নিয়ে প্রকাশিত সরকারি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ‘ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান’ বলে যে ভাসমান বস্তুগুলিকে দেখা গিয়েছে সেগুলি আসলে কী, তা এখনও জানা যায়নি। কারণ, বিশ্লেষণ করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। অনেকেই দাবি করেন, মাঝেমধ্যেই আমেরিকার আকাশে বা বিশ্বের অন্য জায়গায় যে উড়ন্ত যানগুলি দেখা গিয়েছে সেগুলি আসলে পৃথিবীর প্রযুক্তিতেই তৈরি। ওই ভাসমান বস্তুগুলি আসলে সামরিক প্রয়োজনে কোনও গোপন গবেষণার ফল। কিন্তু নিজেদের রিপোর্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, আমেরিকার পাইলটর যা দেখেছেন সেই বস্তুগুলি আসলে কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নিজেদের রিপোর্টে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব থাকা বা না থাকা নিয়ে এখনও মতামত দিতে রাজি নয় আমেরিকার সরকার।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে তথ্যচিত্র নির্মাতা জেরেমি করবেল ও সাংবাদিক জর্জ ন্যাপ এমাসের গোড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই ছবিগুলি মার্কিন নৌসেনার সদস্যদের তোলা এবং সেগুলি আসলে ভিনগ্রহীদের যান! এর আগেও এই ধরনের ছবি ঘিরে বিতর্ক ঘনালেও এবারের বিষয়টা একেবারেই আলাদা। কেননা ছবি ও ভিডিওগুলি যে ‘ফেক’ নয় এবং তা মার্কিন নৌসেনাকর্মীরই তোলা সেকথা মেনে নিয়েছে খোদ পেন্টাগন (Pentagon)! ‘দ্য ব্ল্যাক ভল্ট’ নামের এক ওয়েবসাইট এই বিষয়ে তাদের মত জানতে চেয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র সুজান গঘ জানিয়েছিলেন, ছবিগুলি সত্যিই নৌসেনার তোলা। তাঁর কথায়, ”আমি নিশ্চিত করে বলছি ওই সব ছবি ও ভিডিও মার্কিন নৌসেনার কর্মীদেরই তোলা।” তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে ওই সব উড়ন্ত বস্তুগুলি অপার্থিব যান কিনা তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না। তাঁর এহেন মন্তব্যের পর থেকেই নতুন করে ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব ও তাদের পৃথিবী ভ্রমণের থিয়োরি নতুন অক্সিজেন পায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.