Advertisement
Advertisement
Sundarbans

পর্যটকদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য থেকে এবার জৈব সার, সুন্দরবন রক্ষায় বড় উদ্যোগ

ওই জৈব সার কৃষকদের চাষের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

Organic fertilizer to be made from tourist waste in Sundarbans

ফাইল ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 7, 2025 1:36 pm
  • Updated:June 7, 2025 1:36 pm  

গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সুন্দরবন এলাকায় প্রতি বছরই হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে যান। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট এলাকাতেও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পড়ে। সেই এলাকা দিয়েও পর্যটকরা সুন্দরবনের শোভা দেখার জন্য যান। পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ক্রমেই বাড়ছে বলে অভিযোগ। সুন্দরবনের দূষণে আশঙ্কাও থাকছে। সেই সব বিচার করেই নতুন পদক্ষেপ করা হল। সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকার প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য এবার সংগ্রহ করা হবে। সেসব থেকে তৈরি হবে জৈব সার। সুন্দরবনের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জে শুরু হল এক কর্মকাণ্ড।

Advertisement

বসিরহাটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করা হয়। সেই পরিকাঠামো ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই পরিকাঠামো ছিল না। ফলে পর্যটকরা ঘুরতে গেলে তাঁদের ব্যবহার করা জিনিসপত্র, বর্জ্য পদার্থ সেখানেই পড়ে থাকত বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময় সেসব সংগ্রহ করা হলেও অনেক জায়গাতেই বর্জ্য পড়ে থাকত বলে অভিযোগ। ফলে সুন্দরব এলাকায় পরিবেশ দূষণের আশঙ্কাও থাকছে বলে খবর। সেসব বিষয় খতিয়ে দেখেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায়। সুন্দরবন এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

Organic fertilizer to be made from tourist waste in Sundarbans
প্রকল্পের উদ্বোধন হল। নিজস্ব চিত্র

কালিতলা, যোগেশগঞ্জ ও গোবিন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরি হয়েছে বর্জ্য পদার্থ থেকে সার তৈরির বিশেষ কেন্দ্র। এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বসিরহাট মহকুমা শাসক আশিস কুমার, হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায়, হেমনগর কোস্টাল থানার ওসি মোনায়েম হোসেন, বন ও ভূমির কর্মাধক্ষ সুরজিত বর্মন। জনপ্রতিনিধি থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্জ্য থেকে তৈরি হওয়া জৈবসার চাষের কাজে ব্যবহার করা হবে। ফলে এলাকায় চাষেরও উন্নতি হবে। কৃষকরাও সহজে সেই সার সংগ্রহ করতে পারবে। স্থানীয় বাসিন্দারাও আশাবাদী, এই উদ্যোগ আগামী দিনে এক নতুন দিশা দেখাবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাব সুন্দরবনের উপরেও পড়ছে। সমুদ্র ক্রমেই এগিয়ে আসছে। সুন্দরবনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement