সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোটামুটি আর সাড়ে চারশো কোটি বছর। তারপরই অ্যান্ড্রোমিডার সঙ্গে সংঘর্ষ হবে আকাশগঙ্গার! আর সেই মহাজাগতিক সংঘর্ষে আমূল বদলে যাবে আমাদের ছায়াপথের সব কিছু। এই সংঘর্ষের নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন মিল্কোমেডা। বহুদিন ধরেই ‘শেষের সেদিন’ নিয়ে চর্চা অব্যাহত বিজ্ঞানী মহলে। কিন্তু এবার শোনা গেল অন্য কথা। নয়া গবেষণা বলছে, ব্যাপারটা ঠিক সেভাবে হবে না।
হাবল ও গালা স্পেস টেলিস্কোপের থেকে প্রাপ্ত তথ্য খতিয়ে দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি বছরের মধ্যে ওই মহাজাগতিক সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা মাত্র ২ শতাংশ। তবে আগামী ১০০০ কোটি বছরের মধ্যে এমন সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ শতাংশ।
যদি সত্যিই ওই সংঘর্ষ হয় তাহলে তার পরিণতি কী? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দুই গ্যালাক্সিই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আর তৈরি হবে এক নতুন গ্যালাক্সি। ঘণ্টায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার মাইল বেগে দুই ছায়াপথের ঘূর্ণনের ফলে সংঘর্ষ যে ভয়াবহ হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে ইংল্যান্ডের ডারহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্লোস ফ্রেঙ্ক বলছেন, ”জানি না আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির ভাগ্যে কী রয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, যতটা সম্ভাবনা রয়েছে তাতে বিষয়টা না হওয়ারও বড় সম্ভাবনা রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, পৃথিবীর ‘শেষ দিন’ কেমন হবে তা নিয়ে চর্চা হলে ফিরে আসে সূর্যের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মূহূর্ত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্ভবত সূর্য একদিন প্রসারিত হয়ে একে খেয়ে ফেলবে, এর পর তা পরিণত হবে ‘সাদা বামনে’। ‘সাদা বামন’ দশাপ্রাপ্ত নক্ষত্রের ক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্য গ্রহ-উপগ্রহের চলনে একটা চূড়ান্ত অনিয়ম দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রহ থেকে গ্রহাণু, প্রবল অভিকর্ষের কবলে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এবং একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে ধুলোয় পরিণত হয়। আর এরই মধ্যে চূড়ান্ত অসহায় পরিণতি পাবে আমাদের নীল গ্রহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.