পুজোর কেনাকাটি প্রায় সারা। এবার পালা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানোর। কিংবা কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা কিংবা খাওয়াদাওয়ার।
পুজো মানেই মহিলাদের শপিং ব্যাগে শাড়ি থাকবেই। নিশ্চয়ই বছরকার পাঁচটা দিনে পরার জন্য নানারকমের শাড়ি কিনেছেন? পুজোর কটাদিন কোনটা কবে পরবেন, সে তালিকাও তৈরি করে ফেলেছেন?
তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের মতে, পুজোর কটাদিন কোন রঙের শাড়ি পরছেন, তার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তাঁদের মতে, সেই অনুযায়ী শাড়ি বাছাই করা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোনদিন কোন রঙের শাড়ি পরা উচিত।
ষষ্ঠীতে অবশ্যই লাল রঙের শাড়ি পরতে হবে। কারণ, ওইদিন দেবী দুর্গা কাত্যায়নী রূপে পূজিতা হন। তাই লাল রঙের শাড়ি পরলে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সপ্তমীতে অবশ্যই নীল রঙের শাড়ি পরতে হবে। কারণ, ওইদিন দেবী দুর্গার কালরাত্রি রূপের পুজো হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের মতে, অষ্টমীতে শুভ রং গোলাপি। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ পেতে তাই এদিন না হয় গোলাপি শাড়িতেই সাজুন।
মহানবমীতে পরনে থাক বেগুনি রঙের শাড়ি। মানানসই গয়না পরতে ভুলবেন না।
দশমীতে উমা বিদায়ের পালা। বিষন্নতা নিয়ে ওইদিন সিঁদুরখেলায় মাতেন মহিলারা। সেদিন অবশ্যই সাদা-লাল পাড়ের শাড়ি বাছুন। সঙ্গে সোনার গয়না। ব্যস, এই সাজেই আপনার দিক থেকে নজর ফেরাতে পারবেন না কেউ।
পুজোয় পরার জন্য সবুজ রঙের শাড়িও বাছতে পারেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের মতে, ওই রঙের শাড়িতেও দেবী প্রসন্ন হন। আশীর্বাদ দেন।
কমলা রঙের শাড়িও পরতে পারেন। তাতেও দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব।
জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের মতে, উজ্জ্বল হলুদ রঙের শাড়ি পরলেও দেবী প্রসন্ন হন। আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন।
ধূসর রঙের শাড়িও পরা যেতে পারে। তবে পুজোর কটাদিন কালো রঙের শাড়ি না পরা ভালো বলেই মনে করেন জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.