সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেই মজে দশ বছরের চ্যালেঞ্জে। দারুণ উৎসাহের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নেটদুনিয়ায় একে অপরের থেকে টপকে যাওয়ার হিড়িক পড়ে নিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটোও (Zomato)। কিন্তু নিজেদের প্রচার করতে গিয়ে যে এমন হাসির খোরাক হতে হবে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি সংস্থা।
প্রথমেই বলে দেওয়া যাক #10YearChallenge আসলে কী। দশ বছর আগে আপনি কেমন ছিলেন, আর দশ বছর পরও আপনি একইরকম কিনা, সেই বিষয়টিই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। হ্যাশট্যাগ সহযোগে এমন জোড়া ছবির বন্যা বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছে জোম্যাটো। বছরের বিষয়টি এখানে হয়ে উঠেছে সময়। অর্থাৎ ২০০৯ হয়ে গিয়েছে রাত ৮টা ৯ মিনিট। আর ২০১৯-কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দশ মিনিট পর, অর্থাৎ ৮টা ১৯ মিনিট হিসেবে। প্রথম সময়ের সঙ্গে রয়েছে একটি গোটা পিজ্জার ছবি। আর দ্বিতীয়টিতে দেখা যাচ্ছে পিজ্জাটি শেষ। ফুড ডেলিভারি সংস্থা বোঝাতে চেয়েছে, তারা যে খাবার ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়, তা নিমেশে শেষ হয়ে যায়। ক্রেতারা তাদের থেকে ডেলিভারি পেয়ে বেশ সন্তুষ্টই হন। আর এই ছবি পোস্ট করেই নেটদুনিয়ায় ট্রোলড হতে শুরু করে সংস্থা।
10 minute challenge, anyone?
— Zomato (@Zomato)
গত বছর ডিসেম্বরে জোম্যাটোর এক ডেলিভারি বয়ের কাণ্ডকারখানা মনে করিয়ে দিয়েই জোম্যাটোকে নিয়ে মশকরা করছেন নেটিজেনরা। খাবার পৌঁছে দেওয়ার আগে মাঝপথেই প্যাকেট খুলে খেয়ে ফেলছিলেন সেই ডেলিভারি বয়। খাওয়ার পর আবার আগের মতোই সুন্দরভাবে প্যাকও করে রাখেন সেটি। যাতে কিচ্ছুটি না বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার লেন্সকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। জোম্যাটোর উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। নতুন বছরেও সে স্মৃতি ফিকে হয়নি। সেই বিষয়টিই তুলে ধরে নেটিজেনরা লেখেন, হ্যাঁ, ডেলিভারি বয়কে সঙ্গী হিসেবে পেলে দশ মিনিটেই খাবার শেষ হয়ে যাবে। আরেকজন লেখেন, এই চ্যালেঞ্জ অনায়াসে জিতে যাবে ওই ডেলিভারি বয়। অন্য এক নেটিজেনের বক্তব্য, ডেলিভারির আগে অবশ্যই সেই ডেলিভারি বয়ের কাছে খাবারটি নিয়ে যাবেন। তাহলেই দশ মিনিটে তা শেষ হবে।
Can easily finish in 10 mins with some help from the delivery man
— ARYAN (@unitedaryan)
Challenge accepted!
— Vishw Vajaria (@VishwVajaria)
Before handing over to delivery guy, After handing over to delivery guy
— Neo🔟 (@hate_chemistry)
সোশ্যাল মিডিয়ার এমন প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো বিপাকে জোম্যাটো। একেই বোধহয় বলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারা। এই ঘটনাতেই স্পষ্ট, ক্রেতাদের মন পাওয়া এতই সহজ নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.