Advertisement
Advertisement
পুরুলিয়া

বিস্ময়কর স্মৃতিশক্তি! গড়গড় করে দেশ-বিদেশের নেতামন্ত্রীদের নাম বলে দিচ্ছে পুরুলিয়ার খুদে

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল খুদের ভিডিও।

Purulia's prodigal child draws expert attention, sparks amazement
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 3, 2020 12:38 pm
  • Updated:March 3, 2020 12:38 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। এখনও প্রাক প্রাথমিকেই পা রাখেনি। অথচ সাধারন জ্ঞানের সব কিছুই ঠোঁটস্থ পুরুলিয়ার খুদের। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জাতীয় নির্বাচন কমিশনার, দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এমনকী জেলার সভাধিপতি, জেলাশাসক, ব্লকের বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সকলের নামই একেবারে যেন ঠোঁটের ডগায়। প্রশ্ন ছুঁড়লেই মুহূর্তে উত্তর দিচ্ছে সে। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ‘বিস্ময় শিশু’কে ঘিরে এখন তোলপাড় সমগ্র জেলা।

Advertisement

গত রবিবার সন্ধে সাতটা পঁয়ত্রিশ নাগাদ ওই ‘বিস্ময় শিশু’-র একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বাঘমুন্ডির সন্দীপ মাহাতো। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ একজন তাকে একের পর এক সাধারন জ্ঞানের প্রশ্ন করছেন। আর চটজলদি হাসতে হাসতে ওই শিশু উত্তর দিয়ে দিচ্ছেন। নেদারল্যান্ড, ফ্রান্সের রাজধানী অনায়াসেই বলে ফেলায় তার পাশে থাকা যুবক তাকে কোলে করে আদর করছেন। একদিনের মধ্যে ওই ভিডিও-র ভিউয়ার্স ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। কমেন্ট করেছেন ১২০ জন। সময় যত বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে ভিউয়ার্স থেকে শেয়ারের সংখ্যাও। সাড়ে তিন বছরের এই অমরজ্যোতি মাহাতো মনে করিয়ে দিচ্ছে এই জেলারই রেলশহর আদ্রার মৌসুমি চক্রবর্তীকে। আজ তিনি শিক্ষিকা। প্রায় দু’দশক আগে তিনি খুব কম বয়সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। তিনিও এভাবে গড়গড় করে সব কিছু বলে দিতে পারতেন। তাই তিনিও ‘বিস্ময় বালিকা’ বলে পরিচিত হয়েছিলেন।

puruli-boy-2

সাড়ে তিন বছরের অমরজ্যোতিকে নিয়ে সোশাল সাইটে রীতিমত হৈ চৈ শুরু হয়ে গেলেও মনোবিদরা অবশ্য সেভাবে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না। সিধো–কানহো–বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তপলগ্না দাস বলেন, “এটা ব্যতিক্রম ঘটনা। তবে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নয়। হুগলির শ্রীরামপুরেও কয়েকদিন আগে এরকম একজনকে দেখেছি। আসলে ওই শিশুর বুদ্ধি অন্যদের তুলনায় বেশি। মনে রাখার ক্ষমতাও অধিক।” এই প্রসঙ্গে শিশুটির বাবা পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক ক্ষিতিশ মাহাতো বলেন, “আড়াই বছর বয়স থেকে ওর সঙ্গে মুখে মুখে এইসব সাধারন জ্ঞানের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতেই করতেই ওর সব মুখস্থ হয়ে যায়। ও সত্যিই সবকিছু মনে রাখতে পারে। বড় হয়েও যেন এমনই বুদ্ধি থাকে তার প্রার্থনা তাঁর।

দেখুন ভিডিও:

ছবি: অমিত সিং দেও

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement