Advertisement
Advertisement

‘ভাগ’ করে নয়, গৃহস্থের গোটা পিঠে নিজের পেটে চালান চারপেয়ের

বাঁদরের কাণ্ড দেখে তাজ্জব স্থানীয়রা৷

Monkey eats pitha in Jalpaiguri
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 18, 2019 11:52 am
  • Updated:January 18, 2019 5:06 pm  

অরূপ বসাক, মালবাজার: বানরের পিঠে ভাগের গল্প বহুল প্রচলিত। কিন্তু জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়িতে উদয় হওয়া মস্ত বাঁদরটি ভাগ করে নয়, ছিনিয়ে নিয়ে গোটাটাই চালান করে দিচ্ছে নিজের পেটে। কলা বা টুকিটাকি খাবার নয়। বাঁদর বাবাজির লোভ পিঠে, পুলির প্রতি। সংক্রান্তির মরসুমে অন্য খাবার তার মুখেই রোচেনি। জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ির মানুষজন এখন এই পিঠেভুক বাঁদরের তাণ্ডবে অস্থির। যে বাড়িতেই পিঠে তৈরি হচ্ছে, সেখানেই হানা দিয়ে রান্নাঘর থেকে পিঠে তুলে ধাঁ। দেখা যাচ্ছে, বাড়ির চালে বসে মনের আনন্দে পিঠেতে কামড় বসাচ্ছে সে।

Advertisement

ওদলাবাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দু’দিন ধরে একটি বাঁদর বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। বিশেষ করে রান্নাঘরে ঢুকে খেয়ে নিচ্ছে পিঠে। দুধপুলি, পাটিসাপটা, মালপোয়া কিছুই বাদ যাচ্ছে না। গৃহকর্মীরা জানিয়েছেন, রান্নাঘরে অনেক ধরনের খাবার থাকলেও, এই বাঁদরের শুধু পিঠে,পুলির দিকেই নজর। অন্য কোনও খাবার সে ছুঁয়েও দেখছে না। রান্নাঘরে বসে তো খাচ্ছেই, আবার বেশ কিছু পিঠে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, একান্তে বসে খাওয়ার জন্য। বাঁদরের হানায় সকলেই খুব বিরক্ত। শুক্রবার সেই একই ছবি দেখা গেল ওদলাবাড়ির অর্চনা ঘোষের বাড়িতে। তিনি জানিয়েছেন, ঘরে যখন ঠকুরের পুজো দিচ্ছিলেন, তখন সকলের অজান্তে রান্নাঘরে ঢুকে বাঁদরটি পিঠে,পুলি সব সাফ করে দিয়েছে। এরপর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চারপেয়ের কীর্তি বুঝে যাওয়ার পর মানুষজন দরজা, জানলা বন্ধ করে রেহাই পেতে চাইছেন। কিন্তু গন্ধে গন্ধে বাঁদর বাবাজি ঠিক হাজির।

                                         [তরুণীর নগ্ন ছবি দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’, পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা]

নগরায়নের ধাক্কায় জঙ্গল কমতে থাকায় সেখানকার বাসিন্দাদের লোকালয়ের দিকে চলে আসা, নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় বন্য পশুদের দেখা যায়। আতঙ্কও ছড়ায়। কিন্তু ওদলাবাড়ির এই বাঁদরের ব্যাপারটা একটু আলাদা। ঠিক পিঠেপুলির মরসুমে তাকে দেখা যায় লোকালয়ে। মন ভরে পিঠের স্বাদ নিয়ে হয়তো ফিরে যাবে স্বস্থানে।

 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement