Advertisement
Advertisement

লকডাউনে বাড়ি ফিরতে বাইক চুরি পরিযায়ী শ্রমিকের, পার্সেল করে ফেরত পাঠাল ‘চোর’

বাইক পেয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মালিক।

Migrant labor returns stolen bike after reaching home
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 2, 2020 1:27 pm
  • Updated:June 2, 2020 6:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের জন্য ট্রেন ও বাসের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। কিন্তু তাতেও হচ্ছে না স্থান সংকুলান। তাই নিজেরাই পায়ে হেঁটে বাড়ির পথ ধরছেন তাঁরা। এমন অবস্থায় এক শ্রমিক এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটালেন। বাড়ি ফেরার জন্য বাইক চুরি করলেন তিনি। আর বাড়ি ফিরে সেই বাইক পার্সেল করে পাঠিয়েও দিলেন মালিকের কাছে। ‘চোরের’ এমন কাণ্ডকারখানায় হতবাক গাড়ির মালিক।

Advertisement

সপ্তাহ দুয়েক আগে হঠাৎই একদিন সাধের বাইকটি চুরি যায় ভি সুরেশ কুমারের। কোয়েম্বাটুরের সুলুরে একটি ওয়ার্কশপের মালিক তিনি। বাইক চুরি যাওয়ায় ভেঙে পড়েন সুরেশ। থানায় চুরির অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশ তাঁকে জানিয়েছিল যে তারা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়ে ব্যস্ত। ফলে চুরির বাইক খুঁজে আনার ক্ষেত্রে গড়িমসি হতে থাকে। বাইক চোরের খোঁজ করার মতো পুলিশকর্মী ছিল না। কিন্তু হার মানেননি সুরেশ। বাইক চোরকে ধরতে নিজেই তদন্ত শুরু করেন। শেষমেশ চোরের কথা জানতেও পারেন। এলাকার কয়েকটি সিসিটিভ ফুটেজ তাঁকে চিনিয়ে দেয় চোর কে। সিসিটিভি ক্লিপগুলিতে দেখতে পান তাঁর বাইকটি এক ব্যক্তি চুরি করে পালায়। তিনি ভিডিওটি তাঁর মোবাইলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। চারপাশে দেখিয়ে চোরের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চান।

[ আরও পড়ুন: ফের বানচাল কাশ্মীরে অনু্প্রবেশের চেষ্টা, চারদিনে খতম ১৩ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ]

ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, ‘চোরের’ নাম প্রশান্ত। সুরেশের ফ্যাক্টরির কাছেই একটি চায়ের দোকানে সে কাজ করে। ওই এলাকা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে মান্নারগুড়ি শহর থেকে এসেছিল প্রশান্ত। লকডাউনের পরে অন্য অনেকের মতো তার হাতেও কোনও কাজ ছিল না। অথচ সংসারে স্ত্রী রয়েছেন, সন্তান রয়েছে। সুরেশ ভেবেছিলেন টাকার জন্যই হয়তো প্রশান্ত বাইক চুরি করে। কিন্তু তারপর দেখা গেল, তাঁর ধারণা আদ্যোপান্ত ভুল। সপ্তাহ দুয়েক পর নিজের বাইক সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেলেন সুরেশ। মান্নারগুড়ি থেকে প্রশান্ত তাঁর বাইকটি পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েছে। লকডাউনে জন্য সে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কীভাবে বাড়ি ফিরবে, ভেবে পাচ্ছিল না। তখনই এই আইডিয়া তার মাথায় খেলে। বাড়ি পৌঁছনোর পর নিজের গ্রাম থেকেই ১৩ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে পার্সেল করে প্রশান্ত সেটি ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে বাইকটি পোস্ট অফিস থেকে গ্রহণ করেন সুরেশ। তিনি জানিয়েছেন, বাইকটি তাঁর সম্পূর্ণ ঠিক আছে। কোনও ক্ষতি হয়নি। এরপর তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।

[ আরও পড়ুন: ‘দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধি পুনরুদ্ধার করবে ভারত’, ফের ‘আত্মনির্ভরতা’র আহ্বান মোদির ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement