Advertisement
Advertisement
Dogs

জমির মালিক সারমেয়রা! কোটিপতি কুকুরদের জমিতে চাষবাস গ্রামবাসীদের, জানেন কোথায়?

২০ বিঘা জমির মালিক ১৫০টি কুকুর।

Dogs are millionaires in a Gujarat village | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 23, 2022 4:24 pm
  • Updated:October 23, 2022 4:26 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গরিব বসবাস করে ভারতে, ক’দিন আগে প্রকাশ্যে এসেছে এই পরিসংখ্যান। সেই ভারতেই রয়েছে কোটিপতি কুকুরদের (Millionaire Dog) গ্রাম। চট করে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু এটাই সত্যি। গুজরাটের (Gujarat) বনাসকাঁটা জেলার কাহিনি। পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি মালিক ১৫০টি কুকুর। ওই কুকুরদের যেভাবে যত্নআত্তি করেন গ্রামবাসীরা, ঘরে পোষা কুকুরও তত আদর পায় না! গ্রামের প্রজন্মের পর প্রজন্ম সারমেয় সেবায় নিয়োজিত। কিন্তু এমনটা কেন? কুকুরের কোটিপতি হওয়ার পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?

Advertisement

উত্তর জানতে পিছতে হবে স্বাধীনতাপূর্ব ভারতে। সেই সময় বনাসকাঁটার কুষ্কল গ্রাম এক নবাবের শাসনে ছিল। চাষবাসের জন্য গ্রামবাসীদের বেশ কয়েক বিঘা জমি দান করেন নবাব। ওই জমি থেকে ২০ বিঘা জমি কুকুরদের উদ্দেশে দান করেন স্থানীয়রা। কেন কুকুরদের জমি দান? গ্রামের লোকেরা জানান, কুকুরদের লালন-পালন করা বংশপরম্পরায় চলে আসছে। কুষ্কলের বর্তমান অধিবাসীদের পূর্বপুরুষদের মনে হয়েছিল, মানুষের মতোই কুকুরেরও বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাদেরও থাকার আলাদা জায়গা ও মাসিক আয় থাকা উচিত। যাতে করে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে তারাও।

[আরও পড়ুন: অ্যাপল ওয়াচেই ধরা পড়ল ক্যানসার! প্রাণে বাঁচল নাবালিকা]

যেমন কথা তেমন কাজ। যে দেশে বহু কুকুর খেতে না পেয়ে মারা যায়, সেই দেশে একটি গ্রামে কুকুরদের খাওয়ার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ বাসনপত্র। এগ্রামে কোনও দিন কোনও কুকুর খালি পেটে ঘুমোতে যায় না। এবং যেমন তেমন খাবার নয়, প্রত্যেকটি সারমেয়র পুষ্টির দিকে নজর রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হয়। এর বাইরে সুস্বাদু খাবার, যেমন লাড্ডু দেওয়া হয় কুকুরদের। জমি তো রয়েছে কিন্তু কুকুরদের ভাল ভাবে দেখভাল করার এই অর্থ কোথা থেকে আসে?

ওই ২০ বিঘা জমিতে চাষ করে। যা আসলে কুকুরদের নিযস্ব জমি। গ্রামবাসীরা জানান, জমিতে চাষ করে যে অর্থ উপার্জন হয়, সবটাই ব্যবহার করা হয় কুকুদের দেখভালে। প্রত্যেক গ্রামবাসী সারমেয় সেবায় চাষ করে থাকেন। বিষয়টি জাতপাতের ঊর্ধ্বে। গ্রামের প্রত্যেকেই পূর্বপুরুষের শুরু করা মানবিক প্রথা মেনে চলেন অক্ষরে অক্ষরে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ