সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্টবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টার বানানোর। চেয়েছিলেন পাইলট হতেও। একটু বড় হতেই হেলিকপ্টার কেনার স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু, পকেটের জোর না থাকায় জীবন ও স্বপ্নের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন কৃষকের সন্তান মিথিলেশ। কিন্তু, কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়! সেই ইচ্ছাশক্তির বলে বলীয়ান হয়ে নিজের টাটা ন্যানো গাড়িকে হেলিকপ্টারের মতো বানিয়ে ফেলেছেন বিহারের ছাপরার ওই যুবক। আর তাঁর এই স্বপ্নপূরণের ইতিহাস এখনও মুখে মুখে ঘুরছে গোটা দেশের আনাচে-কানাচে। তাঁর হেলিকপ্টারের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতে প্রশংসা মেতেছেন নেটিজেনরা।
এপ্রসঙ্গে মিথিলেশ বলছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি সবসময় হেলিকপ্টার তৈরির করার কথা চিন্তা করতাম। কিন্তু, আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় কোনওদিন তা করতে পারিনি। অবশেষে নিজের গাড়িটাকে হেলিকপ্টারের মতো বানিয়েছি।’
মিথিলেশের গাড়ি কাম হেলিকপ্টারটি শুধু উড়তে পারে না। তাছাড়া একটি হেলিকপ্টারের বহিরঙ্গে যা থাকার কথা! রোটার ব্লেড থেকে টেল বুম সবই আছে। বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য বদলানো হয়েছে গাড়ির ইঞ্জিনও। ফলে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুরো হেলিকপ্টারের মতোই দেখতে লাগে তাঁর টাটা ন্যানো গাড়িটিকে।
মিথিলেশের মতো স্বপ্নপূরণের চেষ্টা এর আগেও করেছেন অনেকে। যেমন উত্তরপূর্ব চিনের এক আদা চাষি জু ইয়ুহু। তাঁরও স্বপ্ন ছিল আকাশে বিমান ওড়ানোর। কিন্তু, সে ইচ্ছা আর পূরণ করতে পারেননি। তাই এয়ার বাস এ৩২০ মডেলের একটি রেপ্লিকা প্লেন তৈরি করেছিলেন। এর জন্য তাঁর খরচ হয়েছিল তিন লক্ষ ৭৪ হাজার আমেরিকান ডলার। বিমানের পাশাপাশি নিজের গম ক্ষেতের চারপাশে একটি রানওয়েও তৈরি করেছিলেন তিনি। অবসর সময়ে নিজের তৈরি প্লেনে ঘুরেও বেড়াতেন। তাঁর মতো অত টাকা না থাকলেও নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে ৯০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন পাকিস্তানের এক পপকর্ন বিক্রেতা মহম্মদ ফইয়াজ। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি নিজের জমির একাংশ ও জমানো টাকা লাগিয়ে ছিলেন একটি বিমান তৈরির জন্য। যদিও সবকিছুর পরে তাঁর আকাশে ওড়ার স্বপ্ন থেমে গিয়েছিল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে। প্রয়োজনীয় অনুমতি না থাকায় তাঁর আকাশে ওড়ার স্বপ্ন বানচাল করে দেয় পাকিস্তানের পুলিশ।
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.