Advertisement
Advertisement

অন্যভাবে কাটান দোল, ছৌ-ঝুমুরের আবহে ঘুরে আসুন দোলাডাঙা

২০ মার্চ থেকে দোলাডাঙায় শুরু হচ্ছে ‘ব্যাকপ্যাকারস কার্নিভ্যাল’।

Visit Doladanga on Backpackers Carnival
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 7, 2019 3:49 pm
  • Updated:March 7, 2019 3:49 pm   

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রশাসনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দোল-হোলিতে এক অন্যরকম ‘অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভ্যাল’ দোলাডাঙায়। কংসাবতী জলাধারের পাশে ‘লেক ক্যাম্পিং’-র আবহে সপ্তাহখানেক ধরে শুরু হবে ‘ব্যাকপ্যাকারস কার্নিভাল’। যেখানে একেবারে লুটিয়ে পড়া পলাশে মাটির গন্ধেই ছৌ-ঝুমুরের আবহে থাকবে গিটার, বঙ্গ ও হারমোনিকা। অর্থাৎ ওয়েস্টার্ন মিউজিকে অনেকটা গোয়ার মতই ‘বিচ মিউজিক’। সঙ্গে ক্যাম্প ফায়ার-সহ খাওয়া-দাওয়া। পুরুলিয়ার মানবাজার এক নম্বর ব্লকের কংসাবতী জলাধার ছুঁয়ে থাকা দোলাডাঙায় চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। যারা একটু নির্জনতার মধ্যে দোল-হোলিতে অন্যরকম আনন্দে কাটাতে চাইছেন তাদের গন্তব্যই এখন এই দোলাডাঙা।

Advertisement

দক্ষিণ পুরুলিয়ার পর্যটনকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই দোলাডাঙায় ইকো-ট্যুরিজম প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। তাছাড়া বেশ কিছুদিন আগেই মানবাজার এক নম্বর ব্লক প্রশাসন এই জলাধারের পাশে কয়েকটি কটেজ তৈরি করেছে। আপাতত কলকাতার একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়ে সেই কটেজ চালাচ্ছে প্রশাসন। তাই মানবাজার এক নম্বর ব্লকের সহায়তায় ওই জলাধারের পাশে বসানো হয়েছে দশটি টেন্ট। দোল-হোলিতে এই তাঁবুতে পর্যটক টানতেই প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘ব্যাকপ্যাকারস কার্নিভাল’-এর আয়োজন করেছে ওই সংস্থা।

ভ্রমণের নতুন ডেস্টিনেশন ডালিমফোর্ড, ঢেলে সাজাচ্ছে জিটিএ ]

পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরুলিয়ার পর্যটনকে তিন ভাগে ভাগ করে বছর চারেক আগে আমরা কাজ শুরু করেছি। তার মধ্যে একটি হল দক্ষিণ পুরুলিয়া। সেই দক্ষিণ পুরুলিয়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হবে দোলাডাঙা। আমরা রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে দোলাডাঙাকে তুলে ধরতেই একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছি।” সেই পদক্ষেপের মধ্যেই অন্যতম এই ‘ব্যাকপ্যাকারস কার্নিভাল’। প্রায় ছ’কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ওই ইকো ট্যুরিজম প্রজেক্টের কাজও ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রশাসন। মানবাজার এক নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, “আমরা চাইছি দোলাডাঙাকে ঘিরে এক অন্যরকম পর্যটন আবহ তৈরি করতে। এই পর্যটনে সামগ্রিকভাবে আমরা কংসাবতী জলাধারকে কাজে লাগাব।” ইতিমধ্যেই এই জলাধারে নৌকা বিহারের ব্যবস্থা রয়েছে। যে নৌকা এই জলপথে আপনাকে পৌঁছে দেবে কংসাবতী-কুমারীর সঙ্গমস্থল ছাড়িয়ে দক্ষিণ বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে।

আপাতত দোলাডাঙার পর্যটনে দেখভালে থাকা কলকাতার সংসস্থার তরফে গোপাল পাল বলেন, “দোল-হোলিতে আরও বেশি করে এই লেকের ধারে পর্যটক টানতেই আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় টেন্ট বসিয়েছি। এই টেন্টে থাকা, দিনভর খাওয়া-দাওয়া সঙ্গে ক্যাম্প ফায়ার ও মিনারাল ওয়াটার সমেত জন পিছু ১২০০ টাকা রাখা হয়েছে।” গাছ-গাছালির ঠাসাঠাসিতে এই দোলাডাঙায় এক অদ্ভুত নির্জনতা। গাছে গাছে দোলনা। এই নির্জনতায় দোল খেতে-খেতেই হারিয়ে যাওয়া যায়। সেই সঙ্গে লাল পলাশে রাঙিয়ে দিয়েছে চারদিক। বলা যায় দোলাডাঙা অনেকটা পটে আঁকা ছবি। বাহারি ফুল গাছে অজস্র রঙবাহারি প্রজাপতি। তাই সেই প্রজাপতিকে কাজে লাগিয়ে এখানে ‘বাটারফ্লাই গার্ডেন’ করারও পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। তাই জলাধারের পাশে এক অন্যরকম পর্যটনের হাতছানি দোলাডাঙায়।

ছবি: অমিত সিং দেও

ধর্মের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের মেলবন্ধন, রেলের ভ্রমণ প্যাকেজে জুড়ল স্ট্যাচু অফ ইউনিটিও ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ