সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের একটা বড় সময় অফিসেই কাটে সকলের। ফলে কাজের ফাঁকে আড্ডা, মজা, মন কষাকষি-সবই থাকে। সহকর্মীরা কখন যে আনন্দ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে তা বোঝাই যায় না। তবে জানেন কি সহকর্মীরা যতই কাছের হোন না কেন, সবকথা অফিসের সকলের সঙ্গে ভুলেও বলা উচিত নয়। কিছু গোপন কথা গোপন রাখাই ভালো। হ্যাঁ, বিশেষ কোনও সহকর্মী থাকলে, তা আলাদা। তবে সকলকেই কাছের মানুষ ভেবে সব বলতে যাবেন না। অফিসে ভুলেও বলবেন না এই ১০ কথা।
১. অফিসটা কাজের জায়গা। ব্যক্তিগত কথা বলার নয়। এটা সবসময় মনে রাখবেন। পারিবারিক সমস্যা, বিচ্ছেদের খবর অফিসে ছড়িয়ে পড়লে সকলের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে, যা কখনই কাম্য নয়।
২.বস বা টিম লিডারকে পছন্দ না হতেই পারে। বা ধরুন কোনও সহকর্মীর আচরণ আপনার ভালো লাগে না। কিন্তু সেটা সকলকে বলার কোনও প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন কারও পিছনে তাঁর নামে নিন্দা করাটা কখনই ‘কুল’ নয়। আর আজ যাদের বিশ্বাস করে ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন, আগামিকাল তিনি সেসব ফাঁস করে আপনাকে বিপদে ফেলবে না, একথা কে বলতে পারে! তাই গসিপের ফাঁদে পড়বেন না ভুলেও।
৩.বেতন অত্যন্ত গোপন একটা বিষয়। এটা নিয়ে ভুলেও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় যাবেন না। কেউ আপনার বেতন নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে, এতটা জায়গা সহকর্মীদের দেবেন না। একইভাবে নিজেও অন্যের বেতন জানার চেষ্টা করবেন না।
৪. হয়তো চাকরি বদল করতে চাইছেন বা ব্যবসার প্ল্যানিং রয়েছে, ভুলেও একথা অফিসে জানাবেন না। এই তথ্য আপনার সহকর্মীদের জানার কোনও প্রয়োজনই নেই। তাই যা ভাববেন নিজের মতো করে ভাবুন। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন অফিসকে।
৫. অফিস নিয়ে বিরক্ত? যা কাজ করছেন, তাতে খুশি নন? এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কিন্তু পাশের জনকে তা বলতে হবে, বা বোঝাতে হবে তার কোনও মানে নেই। তাঁর আর আপনার সমস্যা এক নয়। তাই কাজ নিয়ে সমস্যা হলে, যাকে বললে সমাধান মিলবে, তাকেই বলুন।
৬. সোশাল মিডিয়া অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাই সহকর্মী বা এইচআরের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার অর্থ ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া। যদি একান্ত প্রয়োজনে তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় রাখতেই হয়, সেক্ষেত্রে কিছু পোস্ট করার আগে সতর্ক হন। যদি অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে ঘুরতে যান, আর সেই ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে, তাহলে বিপদ অনিবার্য।
৭. হয়তো এমন কারও সঙ্গে মন খুলে সবটা শেয়ার করেছেন, যিনি সঠিক মানুষ নন। এক্ষেত্রে আপনার বলা কথাই ব্যবহার করা হতে পারে অস্ত্র হিসেবে। তাই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৮.অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না, সেটা অফিস হোক বা সহকর্মীরা। তবে এটা পুরোটাই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তাই যা বুঝছেন, বা তার পরিপ্রক্ষিতে আপনার কী রণকৌশল, তা মনেই রাখুন। কাউকে বলবেন না।
৯. হতেই পারে অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য ফ্রিল্যান্স করছেন। কিন্তু তা ভুলেও সহকর্মীদের জানাবেন না। কোনওভাবে তা উপরমহলে জানাজানি হলে চাকরি নিয়ে সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা প্রবল।
১০. যদি অফিস কর্তৃপক্ষ আপনাকে গোপন কিছু জানায়। সেটা যেন গোপনই থাকে। মনে রাখবেন, দেওয়ালেও কান আছে। তাই ভুলেও একথা কাউকে বললেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.