Advertisement
Advertisement
gallstones

পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, গলব্লাডারে পাথর নয় তো? এই লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝবেন

জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন।

Symptoms and treatment of gallstones
Published by: Buddhadeb Halder
  • Posted:August 8, 2025 3:35 pm
  • Updated:August 8, 2025 3:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেটের মাঝামাঝি ডানদিক ঘেঁষে ঘন ঘন ব্যথা হয়? ব্যথা কি একনাগাড়ে আধ ঘণ্টা থাকে? এই ব্যথা যদি ডান কাঁধে বা পিঠেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, তাহলে আগেভাগে সাবধান হোন! আপনার গলব্লাডারে পাথর জমতে পারে। যদিও পিত্তথলিতে ব্যথা হওয়া মানেই পাথর জমা নয়। রয়েছে আরও অন্যান্য উপসর্গ।

Advertisement

আমাদের পিত্তথলি লম্বায় ৪ ইঞ্চি। এই নাশপাতি আকৃতির অঙ্গটি পেটের উপরের ডান অংশে লিভারের নিচে থাকে। এর কাজ পিত্ত জমা করা যা আমাদের খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। সাধারণত পিত্তথলিতে সমস্যা হলে পেট ব্যথায় ভোগার আশঙ্কা দেখা দেয়। লিভার যে অতিরিক্ত পিত্ত উৎপাদন করে তা সরাসরি এসে আমাদের গলব্লাডারে জমা হয়। আর তার ফলে গলব্লাডারে জমতে থাকে পাথর।

Symptoms and treatment of gallstones

গলব্লাডারের সমস্যায় এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়
(১) সাধারণত হজমের সমস্যা তৈরি হয়। গ্যাস অম্বল দেখা দেয়। এর ফলে বমি বমি ভাব, গা গোলানো কিংবা বমি হতে পারে।
(২) পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জ্বর দেখা দিতে পারে।
(৩) পেটের ডান দিক ঘেঁষে ব্যথা শুরু হয়। সেই ব্যথা কোমর ছাড়িয়ে ডান কাঁধ, এমনকী পিঠেও ছড়িয়ে পড়ে।
(৪) চার সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

গলব্লাডারে পাথর জমলে ব্যথা হয় কেন?
পিত্তথলিতে পাথর জমলে থলিতে চাপ বাড়ার ফলে ব্যথা দেখা দেয়। একে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘কোলেডোকেলিথিয়াস’ বলা হয়। অনেক সময় পিত্তথলিতে পাথর আটকে থাকার ফলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ঘটে। এতেও পেট ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। এছাড়াও পিত্তথলিতে ক্যালশিয়াম বিলিরুবিন ও অন্যান্য লবনের সংমিশ্রণে বিলিয়ারি স্লাজ তৈরির মাধ্যমে ব্যথা দেখা দিতে পারে।

Symptoms and treatment of gallstones

চিকিৎসা কী?
পিত্তথলির সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। এই রোগের লক্ষণ ও পারিবারিক ইতিহাসের উপর নির্ভর করে সাধারণত চিকিৎসা পদ্ধতি স্থির করা হয়। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা ও ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে এই ব্যথা শনাক্ত করে তবেই সঠিক চিকিৎসা সম্ভব। সাধারণত আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তবে গলব্লাডারে পাথর হলে সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ