সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীরের অন্দরে কোনও গোপণ অসুখ বাসা বাঁধলে তা আগে থেকে বোঝা দায়। বিশেষ করে তা যদি কিডনির সমস্যা হয়, তাহলে আগেভাগে আঁচ পাওয়া বেশ মুশকিল। যেহেতু একটি কিডনি বিকল হলে অন্যটা দিয়ে দিব্যি কাজ চলে যায়, তাই সচরাচর অসুখ ধরা পড়ে না। তাছাড়া কিডনির রোগে শুরুতে বিশেষ কোনও লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে, রোগ বেড়ে যাওয়ার পর প্রকাশ পায় রোগের উপসর্গ। কিডনির অসুখ আগে থেকে ধরতে না পারলে জীবনহানিও ঘটতে পারে। তাই, ঠিক কোন কোন লক্ষণগুলি আগেভাগে দেখলেই সতর্ক হবেন তা জানা প্রয়োজন। কিডনি সুস্থ না থাকলে বেশ কিছু মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। কী কী সেগুলি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রস্রাবের সমস্যা
ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ। তবে কিডনি অসুস্থতায় এটিও একটি অন্যতম কারণ। বিশেষ করে রাতে প্রস্রাবের বেগ বাড়ে। খুব বেশি বা খুব কম প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে রক্তপাত, প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া অথবা প্রস্রাবের রঙ গাঢ় বা ঘোলাটে হলে তৎক্ষণাৎ সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
অত্যাধিক ক্লান্তি
কিডনির আসল কাজ হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কিডনি অসুস্থ হলে এই কাজ করতে পারে না। ফলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়জনীয় উপাদান বাড়তে থাকে। এই বিষাক্ত পদার্থের আধিক্যে শরীর তার কাজ করার ক্ষমতা হারায়। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়।
পা ফোলা
কিডনির সূক্ষ্ম রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে, প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন বের হয়ে যায়। এর ফলে পায়ে ফোলাভাব তৈরি হয়। একে নেফ্রোটিক সিনড্রোম বলা হয়। কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে শরীরে জল জমতে থাকে। পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে আগেভাগে সতর্ক হতে হবে। নাহলে বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা।
ত্বকের সমস্যা
কিডনি অকেজো হলে শরীরে টক্সিন জমতে থাকে। এই টক্সিন ত্বকের নিচে জমা হয়ে চুলকানির সৃষ্টি করে। চুলকানির সাথে ফুসকুড়ি বা ছোট ছোট দানাও দেখা যেতে পারে। ত্বক ক্রমশ শুষ্ক, খসখসে হয়ে ওঠে।
জ্বর
কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বর একটি সাধারণ লক্ষণ হয়ে দেখ দেয়। এছাড়াও কিডনিতে পাথর বা অন্যান্য সমস্যাতেও জ্বর হয়। যদি জ্বরের সঙ্গে কিডনি সমস্যার অন্যান্য লক্ষণ থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.