ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালি মানেই ভোজনরসিক। দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি হলেই মন চায় একটু চপ-সিঙাড়া। আর সঙ্গে জিলিপি মিললে আর কী চাই! কিন্তু সেই সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’ দিয়েছে কেন্দ্র। যা মানতে রাজি নয় বাংলা। মঙ্গলবার তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাফ জানালেন, “মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এধরনের কোনও ফতোয়া মানা হবে না।” তাঁর কথায়, “গুণমান ঠিক থাকলে কে কী খাবে, তাতে বাংলায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।”
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন একটি ফরমান জারি করেছে। আর তা অনুযায়ী জিলিপি-শিঙাড়ার মতো খাবার খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকশিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঠিক কত পরিমাণ ক্যালোরি আছে, কতটা চিনি ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা কী পরিমাণ ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে-তা জানাতে হবে। ক্যান্টিনগুলোতে এই নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্টার টাঙাতে হবে। তবে এই ধরনের খাবার বিক্রির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
এনিয়েই সরব হলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “সিঙাড়া-জিলিপির উপর কুনজর পড়েছে কেন্দ্রের। নানারকম ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এধরনের কোনও ফতোয়া মানা হবে না। কারণ, সিঙাড়া-জিলিপি যারা খান তাঁদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। গুণমান যদি ঠিক থাকে, তাহলে কে কীভাবে খাবেন তা নিয়ে বাংলায় কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।” সিঙাড়া-জিলিপি যেভাবে তাতে গায়ে স্টিকার দিয়ে…! হচ্ছেটা কী! যার যা ইচ্ছে খাবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.