Advertisement
Advertisement

Breaking News

Machua Bazar fire incident

মেছুয়া অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী কে? নিয়ম মানেনি হোটেল? উত্তর খুঁজতে কমিটি গড়ল রাজ্য, মৃত বেড়ে ১৫

জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

WB Govt forms fact finding committee in Machua Bazar fire incident
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 30, 2025 4:15 pm
  • Updated:April 30, 2025 4:20 pm   

অভিরূপ দাস: মেছুয়ার হোটেলে কীভাবে আগুন লাগল? দায়ী কে? সত্যিই কি দমকলের ছাড়পত্র ছিল না হোটেলটির? প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই তৈরি হচ্ছিল বার? বড়বাজারের ফলপট্টির হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর এরকমই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে পুর কমিশনারের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে কমিটি। জানালেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। সকলের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে বলেই খবর।

Advertisement

বড়বাজারের হোটেলটি অব্য়বস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিন সেই সম্পর্কে পুরমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এগুলো কেন বলা হচ্ছে? যখন বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল তখন কেউ জানাল না কেন? কাশ্মীরেও হামলা হয়ে যাওয়ার পর জঙ্গিদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। আগেই যদি জানত ওখানে জঙ্গি থাকে, তাহলে আগেই ভাঙা হল না কেন?” তিনি আরও জানান, আপাতত রাজ্য সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য প্রিয়জন হারানো পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ওসির মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাদের প্রিয়জন এখনও কলকাতায় আসতে পারেননি তাঁদের দেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা থাকবে। রাজ্যের তরফে বাড়িতে দেহ পৌঁছে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের জন্য কে বা কারা দায়ী, তা খুঁজতে বা সমস্ত অব্য়বস্থার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়েছে। তার মাথায় থাকবেন পুর কমিশনার। পাশাপাশি দমকল এবং পুলিশের আধিকারিকরাও থাকবেন কমিটিতে। মেছুয়া বাজারের ঘটনার পাশাপাশি অন্য কোথাও এধরনে বেনিয়ম হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজর রাখবে এই কমিটি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরুর চেষ্টা করেন কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, হোটেলে কমপক্ষে ৪২ টি ঘর ছিল। অধিকাংশতেই ছিল না জানলা। ফলে ধোঁয়ায় বাড়ে বিপত্তি। একদিকে ভিতরে থাকা আবাসিকরা আটকে পড়েন। অন্যদিকে, দমকলকর্মীদের ভিতরে প্রবেশে হিমশিম দশা হয়। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ