Advertisement
Advertisement

ব্রিগেড ঘিরে উৎসবের মেজাজ, রাস্তা বন্ধ করেই চলল খাওয়াদাওয়া

বাসের মাথায় চেপে ব্রিগেডে পৌঁছতেও দেখা গেল আমজনতাকে।

TMC Brigade: people had lunch on roads
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 19, 2019 7:45 pm
  • Updated:January 19, 2019 7:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ব্রিগেডে মিটিং হবে লক্ষ লক্ষ মাথা, ব্রিগেডে মিটিং শেষ হাঁপাচ্ছে কলকাতা।’ কবীর সুমনের গানের সুরেই আজ সুর মিলিয়েছিল তিলোত্তমা। শহরের মধ্যস্থলে ব্রিগেড মানেই তো উৎসবের মেজাজ। খাওয়া-দাওয়া, কলকাতা ঘুরে দেখা আর উপরি পাওনা হিসেবে প্রিয় ‘দিদি’কে চাক্ষুষ করা। শনিবার সারাদিন সেই ছবিই কলকাতার বুকজুড়ে। গোটা রাজ্যের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ময়দানের ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বাংলার সব রাস্তা এসে মিশেছিল শহরে। কিন্তু এই মহামিলনের উৎসবে নাজেহাল হতে হল নিত্যযাত্রীদের।

Advertisement

[লোকসভার পর ফের ব্রিগেড, পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ঘোষণা মমতার]

brigade

বাস থেকে অটো, মেট্রো থেকে ট্রেন- সবেতেই এদিন ছিল দখল নিয়েছিলেন তৃণমূল সদস্য-সমর্থকরা। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য যে শুধু যানবাহন পেতেই সমস্যা হয়েছে, এমনটা নয়। এদিন শহরবাসী রাস্তাঘাটের এমন কিছু দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন, যা সচরাচর দেখার সুযোগ হয় না। এই যেমন এনআরএস হাসপাতালের সামনের রাস্তা। অফিস টাইমে এই রাস্তা কতটা ব্যস্ত, তা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গ্রাম-গঞ্জ থেকে ব্রিগেডের জন্য হাজির হওয়া জনতা সেই রাস্তাতেই বসে পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া সারলেন! তাঁদের কাছে ব্রিগেড তো উৎসবেরই শামিল। আর উৎসবে একটু খাওয়া-দাওয়া হবে না, তা কি হয়? ব্রিগেডের ময়দানে জায়গা হবে কি না হবে না, তখনও জানা নেই। তাই রাস্তা বন্ধ করে সেখানেই খেতে বসে পড়েন অনেকে। অন্য়দিকে, শহিদ মিনারে আবার কর্মী-সমর্থকদের জন্য ছিল ডিম-ভাতের ব্যবস্থাও।

sealdah

[যত্রতত্র মূত্রত্যাগ, মমতার স্বপ্নের শহরকে দূষিত করছেন তাঁরই অনুগামীরা]

Brigade

এখানেই শেষ নয়, এদিন হেলমেটহীন বাইক চালকের সংখ্যাও ছিল নজরে পড়ার মতো। বাসের মাথায় চেপে ব্রিগেডে পৌঁছতেও দেখা গেল আমজনতাকে। আর ব্রিগেডের ‘সাইড এফেক্ট’? যত্রতত্র মল-মূত্র ত্যাগ, খাওয়া-দাওয়া করে থালা, বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা ইত্য়াদি। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের শহর নোংরা হল ব্রিগেডের পর রাস্তায় পড়ে থাকা পোস্টার, ব্যানার, পতাকাতেও। কবীর সুমনের ভাষায়, তাতেই ‘হাঁপাচ্ছে কলকাতা’। তবে কড়া নিরাপত্তা ও পুলিশি নজরদারিতে সুষ্ঠভাবেই সম্পন্ন হয়েছে এই বিরাট কর্মকাণ্ড। আর সেটাই প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সাফল্য়। আর দিনের শেষে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রিয় নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে দেখার স্বপ্ন চোখে নিয়েই তিলোত্তমাকে বিদায় জানালেন রাজ্যবাসী।

brigade

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement