Advertisement
Advertisement

নারদ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টের

সিবিআই-এর এফআইআর দায়ের করার পথ আরও প্রশস্ত হল৷

Supreme blow to Mamata govt, SC nods CBI probe on Narada Sting
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 21, 2017 10:09 am
  • Updated:December 30, 2019 5:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ কলকাতা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট৷ সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের এফআইআর দায়ের করার পথ আরও প্রশস্ত হল৷ একমাস বাড়ানো হল প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়। সিবিআই তদন্তের হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। নারদ মামলার শুনানিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে হাই কোর্টের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, সরকার কী করে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে? এই কারণেই রাজ্য সরকারকে হাই কোর্টের কাছে ক্ষমা চাইতে বলে আদালত। একইসঙ্গে বিনা শর্তে এই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিন রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে শুনানিতে আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র ভিডিওর ভিত্তিতে কীভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট? কিন্তু তাঁকে ভর্ৎসনা করে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নারদ মামলার তদন্ত করবে সিবিআই।

Advertisement

গত শুক্রবারই নারদ মামলার তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের ভার নিজেদের হাতে নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাই কোর্টকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ৷ সেই মতো ফুটেজ সংগ্রহের কাজও শুরু করে দেয় সিবিআই৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ম্যাথু স্যামুয়েল ও তাঁর গাড়ির চালককে৷ কিন্তু দু’জনেই অসুস্থতার কারণে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিতে পারেনি৷

এদিকে শনি ও রবিবার আদালত বন্ধ থাকায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস৷ কিন্তু সোমবার সকালে আদালত খুলতেই দাখিল হয় পিটিশন৷ আর এক্ষেত্রে পূর্ব পরিকল্পনামাফিকই নেওয়া হয়েছিল সম্পূর্ণ আলাদা স্ট্র্যাটেজি৷ শুধু সরকারের তরফেই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী-সহ আরও অনেকেই৷ যদিও এদিন শীর্ষ আদালতে মামলা সংক্রান্ত কিছু নথি জমা দিতে চান মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদালত সেই অনুমতি মন্ত্রীকে দেয়নি। সরকারের এই কৌশলই কোনও কাজেই এল না৷ আবেদন খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ৷ এদিন রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের দুই আবেদনই খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে নারদ মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নিয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা৷ দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই নেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার প্রস্তুতি৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement