Advertisement
Advertisement
JU Dharna

ব্রাত্যর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলা দায়ের করতে হবে! দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর ধরনা

উপাচার্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

Students stages Dharna at JU demanding to lodge Hit and Run case against Bratya Basu

যাদবপুরে রাতভর ধরনা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 5, 2025 9:28 am
  • Updated:March 5, 2025 11:39 am  

নিরুফা খাতুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাতভর ধরনা। অরবিন্দ ভবনের সামনে বুধবার সকালেও ধরনা চলছে। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রানে’র মামলা দায়েরের দাবি তুলেছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে ফের আন্দোলনের আঁচে পুড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

আন্দোলনকারীদের তরফে একগুচ্ছ দাবিদাওয়া রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ইন্দ্রানুজ রায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘হিট এন্ড রান’ মামলা দায়ের করতে হবে। অথচ আহত ছাত্রের বাবা-মা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটা একটা দুর্ঘটনা। শিক্ষামন্ত্রী নিজে ফোন করে পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর এই ব্যবহারের মুগ্ধ ইন্দ্রানুজের পরিবার। এমনকী, ডাক্তারি রিপোর্টেও তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। তারপরেও ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের চাপ তৈরি করছে বাম-অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। আর সেই দাবিতেই রাতভর ধরনাও দিয়েছেন তাঁরা।

আর কী কী দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা?
আন্দোলনকারীদের দাবি, আজ বিকেল চারটের মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যকে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। ঘটনার বিচারবিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। গ্রেপ্তার হওয়া অথবা FIR-এ নাম থাকা সকল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। নিজেদের দাবি মানার জন্য উপাচার্যকে আজ বিকেল চারটে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এরপর জেনারেল বডি মিটিং করে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা জানাবেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সভাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুর হয়। তিনি আহতও হন। এদিকে জখম হন দুই বাম ছাত্র নেতা। যার আঁচ পড়ে গোটা বাংলার সমস্ত বিশ্ববিদ্য়ালয় ও কলেজে। তারপর অনলাইনে বৈঠকে হাজির হলেও ক্যাম্পাসে যাননি উপাচার্য ভাস্কর বসু। বাম, অতিবাম সংগঠনের সদস্য তথা আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য ঘটনার দিন ছিলেন। তাই নৈতিক দায় তাঁর রয়েছে। উপাচার্যকে উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement