Advertisement
Advertisement

Breaking News

SSKM PG Hospital

হস্টেলের ক্যান্টিনে দেহ! এসএসকেএমে অস্বাভাবিক মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরের যুবকের

কী কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

SSKM Hospital: Police allegedly recovered a hanging body from the ground floor canteen premises of the UG New Hostel in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Video Team
  • Posted:June 8, 2025 7:55 pm
  • Updated:June 8, 2025 10:56 pm  

রমেন দাস: এসএসকেএম হাসপাতালের একটি হস্টেলের ক্যান্টিনে উদ্ধার দেহ। হাসপাতালের ঠিক বিপরীতের ইউজি নিউ বয়েজ হস্টেলের নিচের তলায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টা ১০ নাগাদ ১০ তলা ওই বাড়ির নিচের তলায় গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় শান্তনু রায় নামের এক ব্যক্তির দেহ। বছর ৪৫’র ওই ব্যক্তির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার মেহতাবপুর এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই মৃত্যু, নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ভবানীপুর থানা।

সূত্রের দাবি, মৃত শান্তনু রায় বেশ কিছুদিন ধরেই ধার-দেনায় জর্জরিত ছিলেন! একের পর পাওনাদাররা আসতেন তাঁর ক্যান্টিনে। অন্যদিকে তাঁর ক্যান্টিনে অনেকেই ধারবাকিতে খাবার খেয়ে টাকা দিতেন না বলেও দাবি ওই সূত্রের। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন ওই ব্যক্তি। যদিও কী কারণে এই মৃত্যু, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

পুলিশ সূত্র বলছে, ক্যান্টিনের একটি ঘর থেকে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় শান্তনুর দেহ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি! বেশ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত শান্তনুর ওই ক্যান্টিনে কাজ করতেন বাঁকুড়ার রায়পুরের বাসিন্দা মিঠুন চালক। ছুটি নিয়ে গত বুধবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি। মিঠুন ওরফে ছোট্টু বলছেন, ‘আমিও টাকা পেতাম। প্রায় ১৪ হাজার টাকা দেবে বলেছিল। টাকা ঠিকঠাক দিতে পারছিলেন না। অনেকেই আসতেন টাকা চাইতে। বলতেন, শান্তনুদার কাছে টাকা পান। ডাক্তারবাবুরা কে কী করতেন, টাকা বাকি রাখতেন কিনা, খাতার ব্যাপার, বলতে পারব না। কিন্তু আমি যেদিন বাড়ি আসছি, আমাকে খুব আদর করল। দাদাকে কখনও মনখারাপ করতে দেখিনি। প্রায় ৬ বছর ধরে ওই ক্যান্টিনে কাজ করছি। কীভাবে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছি।’

যদিও এই বিষয়ে জানতে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাধিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে’র তরফে যোগাযোগ করা হয় ওই হস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনকেও, যদিও বারবার ফোন বেজে গেলেও উত্তর দেননি কেউ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement