Advertisement
Advertisement
SSC Bhawan Abhijan

এসএসসি অভিযানের নামে অশান্তির ছক! বিস্ফোরক অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে পাকড়াও ২

এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে এসএসসি ভবনকে।

SSC Bhawan Abhijan: Two teacher booked by police
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 18, 2025 1:18 pm
  • Updated:August 18, 2025 1:35 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: এসএসসি অভিযানের নামে অশান্তির ছক! মিছিল শুরুর আগেই বিস্ফোরক অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে দু’জনকে পাকড়াও করল পুলিশ। সুমন বিশ্বাস নামে একজনকে আদি সপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে মগরা থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশের জালে মুর্শিদাবাদের রেজাউল করিমও। দু’জনেই ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক বলেই জানা গিয়েছে। বিস্ফোরক ওই অডিও ক্লিপের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি শিক্ষকদের। এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে এসএসসি ভবনকে। মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।

Advertisement

যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের সদস্য সুমন বিশ্বাস সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, আগামী ১৮ আগস্ট এসএসসি ভবন অভিযান। তিনি এই মর্মে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে ই-মেলও করেন। যদিও এসএসসি অভিযানে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। রবিবার ডিসি বিধাননগর অনীশ সরকার সাংবাদিক বৈঠক করেন। দীর্ঘ ৬ মিনিটের ফোন রেকর্ডিং প্রকাশ করেন। কথোপকথনে এসএসসি অভিযানে পুলিশকে লক্ষ্য করে সকেট ও পেট্রল বোমা ছুড়ে দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে বোমাবাজির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। এই অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়।

যদিও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের সদস্য সুমন বিশ্বাস দাবি করেন এই ফোন রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পুলিশের একটি দল সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে যায়। তাঁর খোঁজ করে। বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায় বলে দাবি সুমনের ভাই সঞ্জয় বিশ্বাসের। তারপরও কিছুক্ষণ পুলিশ সুমনের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করে। সুমনের ভাইয়ের অভিযোগ, “আমার মা অসুস্থ। চোর ধরার মতো করে পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি চালায়। দাদার অপরাধ কী? শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। সুবল সোরেন মারা গেলেন। তাঁদের জন্য লড়াই করছেন।” আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। মগড়া থানায় আটক করে রাখা হয়েছে তাঁকে। সুমনের বন্ধু বিধান চন্দ্র গায়েন বলেন, “আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সুমন। দু’টি বাইকে তিনজন আসে। পুলিশ পরিচয় দেয়। তারপর বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। আমি মগড়া থানায় গিয়ে জানতে চাই। কোন থানার পুলিশ কোথায় নিয়ে গেল সুমনকে, পুলিশ কিছু জানাতে চায়নি। আমার নাম, ফোন নম্বর লিখে রাখে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ