Advertisement
Advertisement

Breaking News

Saradha scam

‘নেই প্রমাণ’, সারদার ৩ মামলায় বেকসুর খালাস সুদীপ্ত-দেবযানী, হবে কি জেলমুক্তি?

২০১৩ সালে হ্যাস্টিংস থানায় সুদীপ্ত ও দেবযানীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল।

Sardha scam: Sudipta Sen and Debjani Mukherjee found not guilty in 3 cases
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 19, 2025 2:10 pm
  • Updated:August 19, 2025 2:36 pm   

অর্ণব আইচ: সারদার প্রথম ৩টি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে হেয়ার স্ট্রিট থানায় সুদীপ্ত ও দেবযানীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল। তিনটি মামলা মিলিয়ে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ ছিল। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার সুদীপ্ত-দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা করে। মঙ্গলবার প্রথম তিন মামলায় সুদীপ্ত এবং দেবযানীকে বেকসুর খালাস করে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।

Advertisement

অবশ্য দুজনের বিরুদ্ধে বহু মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। সারদার বিরুদ্ধে প্রতারণার বিরুদ্ধে ২০০টিরও বেশি মামলা হয়েছে।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়েরও মামলা রয়েছে। তাই সারদার বিরুদ্ধে ওঠা প্রথম তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেও এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না সুদীপ্ত-দেবযানীরা।

আদালতের রায় ঘোষণার পর অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী শুভজিৎ বল জানিয়েছেন, ”তাঁর মক্কেল দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং অন্য অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে ওঠা তিনটি মামলায় দুজনকেই বেকসুর খালাস করেছে। প্রসিকিউশনের হয়ে ১৫জন মতো সাক্ষ্যদান করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের ৪২০ ও ৪০৬ ধারার মামলায় অভিযুক্তকে অপরাধী প্রমাণ করতে যে তথ্য দরকার তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন। ”

এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস হওয়ার পর দেবযানীর মা শর্বরী মুখোপাধ্যায় জানা, ”সত্যের জয় কিছুটা হলেও হয়েছে। সময় লাগছে। এই মামলায় সময় লাগার কথা নয়, তা-ও লাগছে। মেনে নিয়েছি। আজ প্রথম কোনও মামলায় খালাস হল। এই রায়ের জন্য়েই হয়তো অন্য মামলাতেও খালাস হবে।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “সময়কে মেনে নিতে হয়েছে। সময়ে বিচার পাইনি। বিচারে দেরি হচ্ছে। কারণ আমি কোনও দিনই বলব না। আমার মেয়ে কোনও দিনই মুখ খুলবে না। ১৩ বছর হয়ে গিয়েছে, এখনও খুলবে না।” এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি তিনি।

২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য়জুড়ে তোলপাড় পড়ে যাওয়ার পর দেবযানীকে নিয়ে কাশ্মীরের সোনমার্গে লুকিয়ে ছিলেন সারদা মালিক সুদীপ্ত সেন। ভূস্বর্গ থেকেই গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। ২০২৩ সালে প্যারোলে কয়েক ঘন্টার জন্য় ছাড়া পেয়েছিলেন দেবযানী। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় প্রতারিতরা অভিযোগ জানান সারদার বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি সিবিআই এবং সেবি-ও মামলা করে সুদীপ্ত-দেবযানীর বিরুদ্ধে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ