Advertisement
Advertisement
BJP

গুরুত্ব ‘আদি’ নেতাদের, শমীকের নতুন কমিটিতে পদ বাঁচাতে মরিয়া শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠরা!

চলতি মাসেই বিজেপির রাজ্য কমিটি, মোর্চা ও বিভিন্ন সেলে ব্যাপক রদবদল আসতে চলেছে বলে খবর।

Samik Bhattacharya to make huge reshuffle in BJP, West Bengal, Suvendu Adhikari's lobby is at risk
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 7, 2025 8:55 am
  • Updated:July 7, 2025 8:59 am  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপিতে ব্যাটন বদলের পর থেকেই গোটা সংগঠন নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। নতুন রাজ্য সভাপতি হিসেবে সংগঠনের ‘আদি’ নেতা শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নিয়েই খোলনলচে বদলের পথে হাঁটছেন। আর তাঁর তৈরি নয়া কমিটিতে নিজেদের পদ ধরে রাখতে মরিয়া ‘দলবদলু’ নব্য নেতারা। পুরনো নেতারা আর ব্রাত্য থাকবেন না, তা গোড়াতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন শমীক। এতেই শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতাদের অনেকেই পদ হারানোর আশঙ্কায়। সেসব নেতা যে শুধু রাজ্য কমিটিতেই রয়েছেন তা নয়, বিভিন্ন সেল ও মোর্চা এবং জেলা সভাপতি পদেও রয়েছেন। পদ হারানোর আশঙ্কায় বঙ্গ বিজেপির দলবদলু অনেক নেতাই ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সল্টলেক অফিসে। কেউ কেউ আবার নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর সঙ্গে দেখা করে তাঁর আস্থা অর্জনের চেষ্টাও করছেন।

Advertisement

এসবের মধ্যেই খবর, রাজ্য কমিটি, মোর্চা ও বিভিন্ন সেলের পদাধিকারী স্তরে রদবদল হতে চলেছে। সম্ভবত ২০ জুলাইয়ের পর পরিবর্তনের পালা। ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষ ও সক্রিয় নেতাদের নিয়ে নিজের টিম গড়ে নিতে চাইছেন নয়া রাজ্য সভাপতি। বঙ্গ বিজেপির যে সমস্ত পদে বদলের কথা শোনা যাচ্ছে, তার মধ্যে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সম্পাদক পদ রয়েছে। সহ-সভাপতি পদ থেকে দু’জনকে সরানো হতে পারে। বর্তমানে রাজ্য সংগঠনে দশজন সহ-সভাপতি রয়েছেন। সেখানে পুরনো নেতাদের সক্রিয় করা হচ্ছে বলে খবর। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও দু’জনকে সরানোর ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন পাঁচজন। আর সম্পাদক পদ ১১ জনের। সেখান থেকেও তিনজনের বাদ যাওযার সম্ভাবনা প্রবল।

যুব ও মহিলা মোর্চার শীর্ষ পদে বদল আনা হচ্ছে বলে খবর। দলের প্রধান মুখপাত্র রয়েছেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নিজেই। এবার প্রধান মুখপাত্র হিসাবে এক তরুণ মুখকে বসানো হতে পারে। এছাড়া ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রয়েছেন। এখনও তিনটি জেলার সভাপতি ঘোষণা বাকি। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি থাকাকালীনই কয়েক মাস আগেই জেলা সভাপতি রদবদল হয়েছে। নতুন রাজ্য সভাপতি হিসাবে দুই থেকে তিনটি জেলার সভাপতি বদল করতে পারেন শমীক ভট্টাচার্য। বহু পদেই দলবদলু নব্য নেতারা রয়েছেন, যা নিয়ে ক্ষোভ পুরনো নেতা-কর্মীদের। তাঁরা চাইছেন, দলবদলুদের কর্তৃত্ব কমানো হোক। সেই জায়গায় পুরনোদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। তেমন দাবি পেশ করা হয়েছে শমীকের কাছেও।

এদিকে, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের ফারাক ৪২ লক্ষের মতো। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল বলেছেন, এই পার্থক্য কীভাবে কমানো যায় সেই পরিকল্পনা করতে হবে। এবারও দুশো আসনের টার্গেট বঙ্গ বিজেপিকে তিনি বেঁধে দিয়েছেন। তবে সংগঠনের যা পরিস্থিতি, তাতে এসব কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের মধ্যেই। পুজোর পর ভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সেই ইস্তেহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement