অর্ণব আইচ: জোকা কাণ্ডে ৯ সদস্যের সিট গঠন করল রাজ্য সরকার। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দলটি। তারা কথা বলবে নির্যাতিতার সঙ্গে। ঘটনাস্থলেও যেতে পারেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারী দলের সামনে এখন অনেকগুলি প্রশ্ন রয়েছে। শুক্রবারে ওই তরুণী হস্টেলে ঢুকলেন কী করে? বলা হচ্ছে রেজিস্টারে সই করানো হয়নি! সেক্ষেত্রে কার নির্দেশে সই করেননি নির্যাতিতা? অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া কতটা প্রভাবশালী? সব কিছুই খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। সূত্র মারফত খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যাবেন অফিসাররা। কথা বলবেন নির্যাতিতার সঙ্গেও।
পাশাপাশি নির্যাতিতার বাবার বয়ানও তদন্তকারীদের কাছে তদন্তের বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ তিনি অভিযোগের থেকে দূরে সরে দাঁড়িয়ে অন্য কথা বলেছেন। দাবি, তাঁর মেয়েই তাঁকে জানিয়েছেন যে ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তাঁর দাবি, তাঁর মেয়ের উপর কোনও অত্যাচার হয়নি অথবা কেউ মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেনি। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৩৪ মিনিটে তাঁর মেয়ে ফোন করে জানান যে, তিনি গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ। পরে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে যান। লোকেশনও বুঝতে পারেননি। ধর্ষণের অভিযোগ, নাকি বাবার বয়ান, কোনটা সত্যি? তা খতিয়ে দেখবে বিশেষ তদন্তকারী দল।
নির্যাতিতার বাবার দাবি, “মেয়েকে খুঁজতে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের হাসপাতালে যাই। জানতে পারি যে, হরিদেবপুর থানার পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করেছে। মেয়ের কাছ থেকে জানলাম, এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পুলিশ জানাল, একটা ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাড়ি ফেরার পর মেয়ে আবারও বলে, ওর উপর কেউ অত্যাচার করেনি। খারাপ ব্যবহারও করেনি। মেয়ে একেবারে স্বাভাবিক।” এখানে প্রশ্ন উঠছে তাহলে অভিযোগ দায়ের কেন? ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর মেয়েকে তা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে লিখিয়েছে, তা পরে জানা যাবে। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে বিশেষ তদন্তকারী দল।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা আইআইএম অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান। সেই কলেজের হস্টেলের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে আসছে দু’টি দিক। সেই ফ্যাক্ট খতিয়ে দেখতে গঠন করা হল বিশেষ দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.