সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া স্টেশনের অন্যতম ব্যস্ততম প্ল্যাটফর্ম। জায়গা খুব কম। এক কথায় ‘সরু’ বলা চলে। একাধিক এক্সপ্রেস এমনকী লোকাল ট্রেনও চলে। প্রায় সব সময় যাত্রীদের ট্রেন ধরার দৌড় ঝাঁপ লেগেই আছে। তার উপর প্রায়ই পার্সেলের বুকিং পণ্যের ঢাউস-ঢাউস বস্তা ভর্তি হয়ে পড়ে থাকে প্ল্যাটফর্মে। যার জেরে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। হাওড়া স্টেশনের এই পরিস্থিতিতে যাত্রী ক্ষোভ তুঙ্গে।
যাত্রী চলাচলের অসুবিধার এই অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষের জানা। তাও বদলাচ্ছে না পরিস্থিতি। কিন্তু কেন? কী বলছেন আধিকারিকরা? হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জন জানান, হাওড়া ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি তুলনামূলকভাবে ‘সরু’। বিশেষ করে সামনের দিকের অংশ। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনে দিয়ে সব সময়েই দূরপাল্লার ট্রেন চলে। রাতের দিকে কিছু লোকালও চলে। ফলে পণ্য যাতায়াত লেগেই থাকে। অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি বদলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মটিও সরু ছিল। একই সমস্যা ছিল। সেটির কিছুটা সমাধান করা গেছে। এবার ৮ নম্বর নিয়ে ভাবনা চলছে।
দৈনিক দশ-বারো লাখ যাত্রী হাওড়া স্টেশন ব্যবহার করেন। সব সময়ই ভিড় লেগে থাকে। যাত্রীদের ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি লেগেই থাকে। এই ভিড়ের মধ্যে গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো রেলের বুকিং পণ্য ঢাই করে ফেলে রাখা হয়। অভিযোগ, যাওয়া-আসা দু’ক্ষেত্রেই মালগুলি দীর্ঘ সময় পড়ে থাকে প্ল্যাটফর্মে। অভিযোগ উঠছে,পার্সেলের ভ্যানগুলি এখন লিজে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বুকিং ছাড়াও পণ্যও বেআইনিভাবে ল্যাগেজ ভ্যানে তোলা হয়। ফলে সমস্যা বাড়ছে। যদিও বেআইনি পন্য তোলা হয় না বলেই জানিয়েছেন সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জন। তিনি বলেন, “বস্তার গায়ে বারকোড থাকে। ফলে বেআইনি পণ্য ট্রেনে তোলা মুশকিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.