Advertisement
Advertisement
PM Awas Yojona

আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়নি, রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রের

পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই চিঠিই 'ট্রাম্পকার্ড' রাজ্যের কাছে।

No corruption in PM Awas Yojana, says Central Govt. on letter to Chief Secretary | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 5, 2023 5:04 pm
  • Updated:March 5, 2023 5:09 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: বিজেপি নেতানেত্রীদের একাংশ বারবার ‘আবাস যোজনা’য় (PM Awas Yojona) দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে। একাধিক জনসভাতেও আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেই অভিযোগকারী নেতানেত্রীদের মুখ পুড়িয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, আবাসে কাটমানি বা ঘুষ নেওয়ার কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এই প্রকল্পে যতগুলি বাড়ি অনুমোদন বা বাতিল হয়েছে, সবই হয়েছে নিয়ম মেনে।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayet Election)আগে কেন্দ্রের এই চিঠি কার্যত ‘ট্রাম্পকার্ড’ হয়ে উঠেছে নবান্নের কাছে। ১০ মার্চ কেন্দ্রকে পালটা চিঠি দিয়ে আবাসের বকেয়া টাকা চাওয়ার পাশাপাশি এই মিথ্যে অভিযোগকারী নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তার পরামর্শ চাইবে নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ”ওই চিঠির প্রেক্ষিতে যা বলার বিধানসভায় বলব।” প্রদীপবাবুর সরস রসিকতা, ”কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনকী এফআইআর (FIR)করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল যখন কোনও দুর্নীতির হদিশই পেল না, তাহলে কি ধরে নেব মিথ্যে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র?”

[আরও পড়ুন: মায়ের কাছে যাওয়ার শাস্তি! আট বছরের ছেলেকে ‘খুনে’ গ্রেপ্তার বাবা]

আসলে আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, ১০০ দিনের কাজ-সহ কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে চলা একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আটকে রাখার কারণ হিসেবে সেই দুর্নীতিকেই চাঁদমারি করা হয়েছে। অথচ দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল ছোটখাটো দু, একটি ত্রুটি ছাড়া কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের এই রিপোর্ট দেখার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র চিঠি পাঠায় মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে (HK Dwivedi)। তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, আবাস যোজনায় ছোটখাটো বেনিয়ম ছাড়া কোনও দুর্নীতি হয়নি।

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে ‘অপারগ’ পুলিশ, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রায় ফের জটিলতা]

পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় দল ৭ টি জেলা পরিদর্শন করেছে। আবাস যোজনায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কেউ ঘুষ বা কাটমানি নিয়েছে কি না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহু মানুষকে এই প্রশ্ন করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোথাও কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতির হদিশ পায়নি। পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহের কালিয়াচকে বেশ কয়েকটি বাড়ির অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তদন্তকারীরা স্বীকার করে নিয়েছেন, কালিয়াচকের ১৩টি বাড়ির মধ্যে ১১টি রাজ্যই বাতিল করে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে অভিযোগ ওঠা বাড়িগুলির দেওয়ালে ঠিক জায়গাতেই ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র স্টিকার লাগানো আছে।

তবে মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, নদিয়া এই স্টিকার নিয়েই কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে। এবার দেখার, আটকে থাকা আবাসের টাকা কতদিনে রাজ্যকে পাঠায় কেন্দ্র। তবে বকেয়া মেটাক বা না মেটাক, কেন্দ্রের এই চিঠি যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement