Advertisement
Advertisement
Kunal Ghosh

‘খাবারের ফতোয়া মানব না’, কেন্দ্রকে বিঁধে মাছ-মিষ্টি-মোরে সাংবাদিক সম্মেলন তৃণমূলের

'অদৃশ্য ৫ হাজার কোটির গল্প', মোদিকে পালটা তোপ কুণালের।

Kunal Ghosh slams BJP over Samosa restrictions
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 18, 2025 6:18 pm
  • Updated:July 18, 2025 8:15 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ শিঙাড়া খাবে, ফিস ফ্রাই খাবে, জিলিপিও খাবে। খাদ্যের গুণমান যদি ঠিক থাকে সেখানে কোনও ফতোয়া মানা হবে না। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের নির্দেশিকাকে বিঁধে কড়া সুরে তোপ দাগলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে দুর্গাপুরে মোদির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’-এর অভিযোগ তুললেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন একটি ফরমান জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জিলিপি-শিঙাড়ার মতো খাবার খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঠিক কত পরিমাণ ক্যালোরি আছে, কতটা চিনি ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা কী পরিমাণ ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে-তা জানাতে হবে। ক্যান্টিনগুলোতে এই নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্টার টাঙাতে হবে। তবে এই ধরনের খাবার বিক্রির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। এদিকে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা সামনে আসার পর বিতর্ক চরম আকার নেয়। কেন্দ্রের নিন্দায় সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ স্বরূপ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ফিস ফ্রাই, শিঙাড়া, জিলিপি সাজানো প্লেট দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বের টেবিলে। সুর চড়িয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “কে কী খাবে তা ঠিক করে দিতে পারে না কেউ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য মনে করে শিঙাড়া, ফিস ফ্রাই, জিলিপির মতো খাদ্যের গুণগত মান যদি ঠিক থাকে তবে খেতে আপত্তি কোথায়? বহু জায়গায় মাছ-মাংস-ডিম খেতে দিচ্ছে না। কেউ কেউ নিরামিষ খান, কেউ আমিষ। গণতান্ত্রিক দেশে কে কী খাবে তা তার নিজস্ব। খাদ্য তালিকায় ফিস ফ্রাই থাকবে, শিঙাড়া থাকবে, জিলিপি থাকবে। খাদ্যে বিধিনিষেধ আমরা মানব না। মাছ-মিষ্টি অ্যান্ড মোর বাংলায় ছিল, আছে, থাকবে এবং চলবে। আমরা কোনওভাবেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের পক্ষে নই।”

এর পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটির প্রকল্পের শিলান্যাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল। মোদিকে ‘মিথ্যাচারি’ বলে তোপ দেগে তিনি বললেন, “একজন প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একরাশ মিথ্যে তথ্য দিয়ে গেলেন। উন্নয়ন নিয়ে কতটা মিথ্যাচার করলেন… কী আর বলব। উনি খালি হাতে এসে বড় বড় কথা বলছেন কেন? বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাওনা। সেটা উনি দিচ্ছেন না। একশো দিনের কাজ করিয়েও টাকা দেননি। আবাসের টাকা দেননি। সবটা রাজ্য সরকার দিয়েছে।” এরপরই খোঁচা দিয়ে বললেন, “দৃশ্যমান বকেয়া দিচ্ছেন না, অদৃশ্য ৫ হাজার কোটি দেখিয়ে গেলেন! কিন্তু এটা করার কথাই ছিল। কোনও দয়া উনি করছেন না।” দেশের বেকারত্বের হার থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন, সব ইস্যুতেই নিশানা করলেন মোদিকে। তৃণমূলের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিথ্যাচার করে বাংলায় মাটি শক্ত করার চেষ্টায় বিজেপি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ