Advertisement
Advertisement
Kolkata Police

ব্যবসার ‘পার্টনার’কে আটকে রেখে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি! ছক ভেস্তে দিল পুলিশ

মেটিয়াবুরুজ থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়।

Kolkata Police arrested one person for allegedly trying to kidnap

ফাইল ছবি।

Published by: Kousik Sinha
  • Posted:October 12, 2025 9:53 pm
  • Updated:October 12, 2025 9:53 pm   

অর্ণব আইচ: পাওনা টাকা ফেরত পেতে খোদ ব্যবসায়ের সহযোগীকেই অপহরণ ছক! শুধু তাই নয়, একেবারে ঘরে আটকে রেখে দেড় লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশি তৎপরতায় ভেস্তে যায় সব ছক। বিষয়টি জানতে পেরেই তদন্তে নামে মেটিয়াবুরুজ থানার আধিকারিকরা। বন্দর এলাকার পাহাড়পুর রোডে চলে তল্লাশি। সেই সময় ‘অপহরণকারী’ মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সলমন ওরফ জওহরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অপহৃতকে। যা বড়সড় সাফল্য হিসাবেই দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ ইরফান মেটিবুরুজের বাসিন্দা। অভিযুক্ত মহম্মদ সলমনের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। বিশেষ প্রয়োজনে ইরফান সলমনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা আর ইরফান ফেরত দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। টাকা না পেয়ে ইরফানকে বিভিন্ন সময় মহম্মদ সলমন হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই দু’জনের মধ্যে বচসা হতো বলে দাবি পুলিশর। এমনকী সলমন ইরফানকে কয়েক দফায় ওই টাকা যাতে ফেরত দেয় সেই শর্তও বেধে দিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।

ইরফান জানান, তাঁর সময় লাগবে। এরই মধ্যেই শনিবার এই ব‌্যাপারে আলোচনার নাম করে সলমন ইরফানকে বিচালি ঘাটের কাছে ডেকে পাঠান। সেখানেও টাকা চেয়ে সলমন জোরাজুরি করতে থাকেন। কিন্তু ইরফান ফের সময় চাওয়ার পরই সলমনের মাথায় অন‌্য মতলব চাপে। সে তাঁকে একটি ট‌্যাক্সি করে পাহাড়পুর রোডে নিজের এলাকায় নিয়ে যায়। আলোচনার নাম করে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। ওই ব‌্যবসায়ীকে অভিযুক্ত খুনেরও হুমকি দেয়। ইরফানের মোবাইল কেড়ে নিয়েই সলমন তাঁর পরিবারের লোকেদের ফোন করে। জানিয়ে দেয়, ইরফানকে ‘অপহরণ’ করে আটকে রাখা হয়েছে। ‘মুক্তিপণে’র দেড় লাখ টাকা না দিলে তাঁকে খুন করে ফেলা হবে। পুলিশকেও কিছু না জানাতে বলা হয়।

কিন্তু পরিবারের লোকেরা এই হুমকির ফোন পেয়ে ভয় পেয়ে যান। তাঁরা মেটিয়াবুরুজ থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ইরফানের মোবাইলের মাধ‌্যমে সলমনের সঙ্গে কথা চালানোর পরামর্শ দেয় পুলিশ। ইরফানের মোবাইলের সূত্র ধরেই পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, পাহাড়পুর রোডের একটি আস্তানায় ‘অপহৃত’কে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ ওই ঠিকানায় হানা দেয়। ঘরের ভিতর থেকে পুলিশ ইরফানকে উদ্ধার করে। ওই বাড়ি থেকেই পুলিশ অপহরণকারী মহম্মদ সলমনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে আরও তথ‌্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ