অর্ণব আইচ: পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ভিনরাজ্যের এটিএম ও অনলাইন প্রতারণা চক্রের একাধিক দুষ্কৃতী। উদ্ধার হল একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, আধার কার্ড ও মোবাইল ফোন। এইসব এটিএম কার্ড ও আধারের মাধ্যমে প্রতারণা চলত। আবার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও ভাড়া দেওয়া হত বলে অভিযোগ। পরে ভাড়া নেওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে সেই টাকা তুলে নেওয়া হত। প্রাথমিকভাবে এই কথাই মনে করছে পুলিশ। গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ প্রথমে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে পাকড়াও করেছেন তদন্তকারীরা। সেই তিনজন ওড়িশার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও তথ্য পেতে চাইছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় এটিএম ও অনলাইন জালিয়াতির চক্রের ঘটনা সামনে আসছে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। এবার তেমনই এক চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশ। গতকাল, মঙ্গলবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে একটি খবর আসে। গার্ডেনরিচ থানার সার্জেন পালডেন ভুটিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে সুয়োমুটো মামলা নথিভুক্ত হয়। তারাতলা রোডের উপর একটি গাড়িকে দেখে সন্দেহ হয়েছিল। এরপরই সেই গাড়িটিকে ধরতে পুলিশ তদন্তে নামে। তারাতলা রোডের উপরেই ওই গাড়িটি আটক করা হয়। গাড়িতে চার যুবক ছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে কথায় অসঙ্গতি দেখা যায়। গাড়ির ভিতর থেকে পাওয়া যায় একটি ব্যাকপাক। সেটি তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে একাধিক এটিএম কার্ড।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অনলাইনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চলত। এটিএম কার্ডের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হত টাকা। ওই চার যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম সাহিনুর রহমান ফকির, শেখ রাহুল, শেখ আসফাক ও আশিক মিস্ত্রি। ধৃতরা রবীন্দ্রনগর থানার সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও তিনজনের নাম। গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ এরপর দুষ্কৃতীদের ধরতে হাওড়ায় হানা দেয়। শিবপুরের একটি মলের সামনে থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম এস কে শহীদ কাদরি, এস কে আলিমুদ্দিন ও এস কে ফিরোজ। ধৃতরা ওড়িশা রাজ্যের ভদ্রকের বাসিন্দা। ধৃতরা হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিল বলে খবর। পরে সেখানেও হানা দেয় পুলিশ। হোটেলের ঘর থেকেও উদ্ধার হয়েছে এটিএম কার্ড, আধার কার্ড ও একাধিক মোবাইল।
কী কারণে ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় এসে ঘাঁটি গেড়েছিল ওই তিন যুবক? রবীন্দ্রনগরের ধৃত চার যুবকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের সূত্র কি? এখানে কি প্রতারণার কোনও পরিকল্পনা হয়েছিল? সেসব প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ তথ্য বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.