ছবি: গোপাল দাস।
সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্যের অনুমতি না মেলা পর্যন্ত নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের কোনও দপ্তর খোলা যাবে না। এজন্য রাজ্যের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবারই পূর্ব রেলের সিপিআরও কমলদেও দাসকে বদলি করা হয়েছে। আগুন লাগার পরেই সিপিআরও বদলির যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও কৌতুহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে সরানো হয়েছে বলে মনে করেছেন অনেকে। যদিও এপূর্ব রেলের এজিএম অনিত দুলাত এটাকে ‘রুটিন বদলি’ বলে জানিয়েছেন। রাজ্যকে চিঠি পাঠানো প্রসঙ্গে এজিএম বলেন, “বিল্ডিংটিতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রয়েছে। সেখানে বিভাগীয় প্রধানদের চেম্বার রয়েছে। বিল্ডিং বন্ধ থাকায় কাজের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে।”
এদিকে পোড়া কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের প্যাসেঞ্জার্স রিজার্ভেশন সিস্টেম চালু হলেও খোলা হয়নি নিউ ও ওল্ড কয়লাঘাটের কাউন্টার দু’টি। তবে ফেয়ারলি প্লেসের ফরেনার্স ও কর্মীদের পাস কাউন্টার খোলা হয়েছিল এদিন। এমারজেন্সি কোটা ও চাটিংয়েরা কাজ হয় সেখানে। বৃহস্পতিবার রাতের শিফটে পিআরএসের কাজে যোগ দেন এমার্জেন্সির কর্মীরা। কলকাতার কাউন্টারগুলি খোলা না হলেও শহরতলির স্টেশনগুলির কাউন্টার থেকে সংরক্ষিত টিকিট মিলেছে এদিন। এজন্য সেকেন্দ্রাবাদ ও দিল্লির লিঙ্ক ব্যবহার হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে এদিন আবার তৃতীয় দফায় কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগ। ফরেনসিক, রেল, পুলিশ, দমকল দু’দিন আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত করলেও এদিন চার সংস্থা একই সঙ্গে তদন্ত করে। ১৩ তলার এই বহুতলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও তা যথেষ্ট ছিল না বলে মনে করেছে ফরেনসিক বিভাগ। স্প্রিংকলার ছিল না ফ্লোরে। ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করেনি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.