প্রতীকী ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ সাইকিয়াট্রির তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯-এর মার্চের মধ্যে ত্রিশ জন চিকিৎসকের আত্মহত্যার কথা নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ১২ জন মহিলা। ডাক্তাররা শুশ্রূষা করছেন রোগগ্রস্তদের। তাঁদের মনের শুশ্রূষা কে করে?
বুধবার বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে নিজেরাই নিজেদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা। সামনে আনলেন হেল্পলাইন নম্বর। কিরন-১৮০০-৫৯৯-০০১৯, আসরা-+৯১ ৯৮২০৪ ৬৬৭২৬, স্নেহি-+৯১৯৫৮২২ ১১২১৩, আইকল-+৯১ ৯১৫২৯ ৮৭৮২১। প্রতিটি নম্বরে ফোন করলে মিলবে কাউন্সেলিংয়ের সুবিধা।
উল্লেখ্য, বাংলাতেও বাড়ছে চিকিৎসকদের আত্মহত্যার ঘটনা। গত জুন মাসে বেহালায় নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসক প্রলয় বসু। ২০২৪-এর শেষের দিকে আত্মহত্যা করেন ঝাড়গ্রামের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য। গত বছর ডিসেম্বরে বাংলার মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যা করেছেন ৩২ বছরের চিকিৎসক পৌলোমী বিজয়পুরী।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক ডা. কৌশিক চাকী জানিয়েছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম চিকিৎসকদের মনের সমস্যা মেটাতে দ্রুত হেল্পলাইন খুলছে। সেই হেল্পলাইন নম্বর খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গায় অনুমতিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য আর পাঁচটা পেশার মতো চিকিৎসা পেশাতেও রয়েছে বিপুল কাজের চাপ। ক্রমবর্ধমান দুশ্চিন্তায় ভুগছেন চিকিৎসকরা। আর এই কারণে আত্মহত্যার ঘটনা শোনা যাচ্ছে আকছার। ‘আর্কাইভ অফ মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স’-এর নথি বলছে ২০২০ থেকে ২০২২। মাত্র দু’বছরে ১১৮ জন এমবিবিএস পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন দেশে।
আদিত্য বিড়লা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন নীর্জা বিড়লা জানিয়েছেন, আত্মহত্যা একটি সামাজিক ব্যাধি। আমাদের প্রত্যেকের নিজের কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত, একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে আমরা কী করতে পারি। দেশের আত্মহত্যার নথি খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন ৪৬৮ জন হারিয়ে যাচ্ছেন চিরতরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.