Advertisement
Advertisement
Phool Bagan Metro station

আছে লিফট-চলমান সিঁড়ি, ৪ বছর ধরে বন্ধ ফুলবাগান মেট্রোর গেট ‘এ’, কেন?

বি সি রায় শিশু হাসপাতালের উলটোদিকের (এ) গেটটি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন সেখানে চিকিৎসা করাতে আসা শিশু ও তাঁদের পরিজনেরা।

Gate A of Phool Bagan Metro station closed till 4 years
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 1, 2025 10:45 am
  • Updated:June 1, 2025 10:45 am   

নব্যেন্দু হাজরা: ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন চালু হয়েছে তাও প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এটি। প্রতিদিন যাত্রীসংখ্যাও যথেষ্টই। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণেই বন্ধ ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের একটি গেট। বি সি রায় শিশু হাসপাতালের ঠিক উলটোদিকের (এ) গেটটি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন সেখানে চিকিৎসা করাতে আসা শিশু ও তাঁদের পরিজনেরা। যেহেতু শিশু হাসপাতাল রয়েছে, তাই রোগীদের সুবিধার্থে লিফটও বসানো হয়েছিল এই গেটে। কিন্তু মেট্রো চালুর শুরুর কয়েকমাস গেটটি খোলা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ।

Advertisement

যাত্রীদের বক্তব্য, ওই গেট থেকে বেরলেই ছিল অটোস্ট্যান্ড। উল্টোদিকে হাসপাতাল। ফলে অনেক সুবিধা হত। কিন্তু গেটই তো খোলে না। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে চলমান সিঁড়ি, সিঁড়ি, গেট, লিফট বানানো হল। অথচ যাদের সুবিধার্থে গেট, তাঁদের কোনও লাভ হল না। প্ল্যাটফর্ম থেকে উপরে উঠে টিকিট কাউন্টারের পাশ দিয়ে ‘এ’ গেটে যাওয়ার যে রাস্তা সেখানে লেখা রয়েছে ‘নো এক্সিট’। কিন্তু কেন বন্ধ, তার সঠিক কোনও তথ্য নেই মেট্রোর কোনও কর্তার কাছে। স্টেশনের কর্মরত এক মেট্রোর এক কর্মী যেমন জানান, উপরমহলের নির্দেশেই বন্ধ এই গেট। লিফট চলে না।

ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের তিনটি গেট। এ, বি এবং সি। তার মধ্যে হাসপাতালের উল্টোদিকে ‘এ’। সেটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে মেট্রো চালুর কয়েক মাস পর থেকে। অনেকের মতে একটা গেট খোলা রাখলে আরপিএফ থেকে গেটে দাঁড়ানোর লোক, অন্তত চারজন কর্মী প্রয়োজন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখন যেভাবে কর্মী সংকোচন করছে, তাতে এভাবে কর্মী দাঁড় করিয়ে রাখার বিলাসিতা দেখাবে না। স্বাভাবিক কারণেই তাই গেট খুলছে না। অবশ্য এর পিছনে আরও একটা কারণও শোনা যায়। যেমন কর্মীদেরই একাংশ জানান, ওই গেট দিয়ে বেরনোর জন্য যে লিফটা রয়েছে, সেটি রিমোটে চালু এবং বন্ধ হত। ম্যানুয়ালি হয় না। কিন্তু কোনও কারণে সেটি কাজ করছে না। কেএমআরসিএল এ বিষয়ে জানিয়েছে, রেলকে তাঁরা স্টেশনের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে।

রেল আবার জানাচ্ছে, এই কাজের দায়িত্ব কেএমআরসিএলেরই। আর এই দড়ি টানাটানির জেরেই খুলছে না গেট। ফলে হুইলচেয়ার নিয়ে যদি কোনও মানুষ থাকেন, তিনি বেরতে পারছেন না। সব থেকে সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতালে আসা মানুষজন। মেট্রোর এক কর্তা এ বিষয়ে অবশ্য জানান, হয়তো যে সংখ্যক যাত্রী হয় ওই স্টেশনে, তাদের বেরোনোর জন্য তিনটি গেট খোলার প্রয়োজন হয় না। তাই একটি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ