প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: পুলিশের নাম করে মোবাইলে ভুয়ো ট্র্যাফিক চালান পাঠিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। আর তাতে ক্লিক করেই ৬০ হাজার টাকা খোয়ালেন এই ব্যক্তি। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ কলকাতা পুলিশই। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাইবার থানায় প্রতারিত ব্যক্তির হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন লালবাজারেরই এক পুলিশ আধিকারিক। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ট্র্যাফিকের ভুয়া চালান নতুন ধরনের সাইবার অপরাধ। যদিও এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে কড়া হাতে মোকাবিলা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
কিন্তু কীভাবে ঘটছে এই অপরাধ? পুলিশের দাবি, কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের নাম করে গাড়ির মালিকদের পাঠানো হচ্ছে ভুয়ো চালান। যেখানে একটি লিঙ্কে ক্লিক করে ফাইল ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। সেই লিঙ্কেই লুকিয়ে বিপদ! বিশেষজ্ঞদের দাবি, লিঙ্কে ক্লিক করলেই মোবাইলে থাকা সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। লালবাজারের ওই আধিকারিকের দাবি, একই ঘটনা ঘটেছে ওই প্রতারিত ব্যক্তির সঙ্গেও।
তদন্তকারীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের নাম করে অভিযোগকারীর মোবাইলে একটি ভুয়ো মেসেজ আসে। যেখানে দাবি করা হয় যে তাঁর গাড়ি আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁকে ই-চালান পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে লিঙ্কও পাঠায় সাইবার জালিয়াতরা। আর তাতে ক্লিক করতেই সঙ্গে সঙ্গে খোয়া যায় ৬০ হাজার টাকা! আর এই ঘটনা জানতেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে লালবাজার।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়, চলতি মাসেই ভুয়ো ট্র্যাফিক চালান বানিয়ে সাইবার প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। ধৃত যুবক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। গত মাসে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযোগকারীর অভিযোগ ছিল, তাঁর কাছে ট্রাফিক পুলিশের নামে একটি চালান আসে। সেই চালানে ক্লিক করতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। এরপরেই ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.