প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: ডিজিটাল অ্যারেস্ট মামলায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আজ সোমবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ইডির বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। কেবল বাংলাই নয়, সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল অ্যারেস্টের অভিযোগ আসে। কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে প্রতারকদের বিরুদ্ধে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। চক্রের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ড চলত। কলকাতার ঘটনার তদন্তে এদিনের জমা দেওয়া ৬০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রের মাথারা। চার্জশিটে চিরাগ কাপুর ও যোগেশ দুয়ার নামে দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে। তাঁদের একটি সংস্থার নাম চার্জশিটেও উল্লেখ রয়েছে।
চার্জশিটে জানানো হয়েছে, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড এই দুই ব্যক্তি। দুবাই থেকে চলত এই প্রতারণাচক্র। দুই অভিযুক্তের ৩০০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মোট দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, এখনও অবধি চক্রের মাথাদের ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৩৫০টি সিমের উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। আন্তর্জাতিক রোমিংয়ের মাধ্যমে এইসব সিমের মাধ্যমে প্রতারণা চলত বলে খবর। চার্জশিটে ১৩ জনের নাম রয়েছে।
কখনও প্রতারকরা ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক পরিচয়ে সাধারণ মানুষদের ফোন করা হত। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য পুলিশের পোশাক পরে ভয় দেখানো হত। কখনও পার্সেলে অবৈধ জিনিস গিয়েছে বলে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে ক্রমাগত ভয় দেখানো হত। বলা হত গ্রেপ্তার করার কথা। ক্রমাগত ভিডিওকলে ওইসব মানুষরা ভেঙে পড়লে বেরিয়ে আসত আসল স্বরূপ। টাকায় মিটমাট করার কথা বলে পাতা হত নতুন ফাঁদ। তখনই ফোনের ওপ্রান্ত থেকে কার্ড নম্বর, ওটিপি চেয়ে নেওয়া হত। সেগুলি হাতে পেয়ে গেলেই সাফ করে দেওয়া হত ওইসব ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.