রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। বঙ্গ বিজেপির দাবাং নেতা দিলীপ ঘোষ এখন কার্যত দলছুট। কিন্তু দলের একাংশের বিশ্বাস, বাংলায় বিজেপির হাল ফেরাতে পারেন একজনই। তিনি দিলীপ (Dilip Ghosh)। তাই তাঁকে সক্রিয় করার চেষ্টায় পদ্মশিবিরের আদি নেতাদের একাংশ, খবর এমনটাই।
বাংলায় বিজেপির মাটি শক্ত করতে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা যে ঠিক কতটা, তা বলাই বাহুল্য। ২০১৯ সালের লোকসভায় বাংলার আঠেরোটি আসন জিতেছিল বিজেপি। যা এযাবৎকালে রাজ্যে বিজেপির সর্বোচ্চ সাফল্য। তারপর থেকে বহু নতুন মুখ দেখা গিয়েছে পদ্মশিবিরে। একইভাবে কমেছে পুরনোদের দায়িত্ব। সেই তালিকায় রয়েছেন খোদ দিলীপ ঘোষও। বর্তমানে কার্যত ব্রাত্য তিনি। রাজ্যে মোদি, শাহের কর্মসূচিতেও ডাক পাচ্ছেন না তিনি। এদিকে চব্বিশের লোকসভায় আসন সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বিজেপির। ফলে দিলীপ ঘোষের নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া আদতে বিজেপির জন্য নেতিবাচক, তা পরিষ্কার বুঝতে পারছে দলের একাংশ।
জানা যাচ্ছে, এই কারণেই বিজেপির পুরনো নেতাদের একাংশ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে গিয়ে দিলীপ ঘোষের দলে প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন। আদি বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, দল চলে যাচ্ছে তৃণমূলের থেকে আসা বিজেপি নেতাদের কাছে। এদিকেই অনেকেই শুভেন্দুর একনায়কতন্ত্র মেনে নিতে পারছে না। বিশেষ করে পুরোনো বিজেপি, যারা বছরের পর বছর ধরে মার খেয়েছে, ঘরছাড়া হয়েছে তবুও দলের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তারা এটা মানতে পারছে না। এছাড়া দিলীপ ঘোষের একটা জনপ্রিয়তা ছিল দলে। তিনি সরে গেলে, তাঁর ঘনিষ্ঠরাও সরবে। এটা মোটামুটি বুঝে গিয়েছেন সকলেই। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, যে কোনও মূল্যে দিলীপকে সক্রিয় করার। এবিষয়ে এক বিজেপির নেতা বললেন, “দিলীপ দা কখন ও দলছুট হবেন না। দিলীপ দাকে আবার আমরা পাব। ছাব্বিশে ওনাকে দরকার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.