Advertisement
Advertisement
জগদীপ ধনকড়

সংঘাতে ঘৃতাহুতি! শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্বের বিল পেশের পরই স্থগিত সমাবর্তন

প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত ছিলেন জগদীপ ধনকড়।

Convocation programme suspended in engineering university
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 11, 2019 6:05 pm
  • Updated:July 18, 2022 6:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। আচার্যের ক্ষমতা খর্বের বিল পেশের পরই স্থগিত করা হল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন শেষ মুহূর্তে সমাবর্তন স্থগিত করা হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দু’পক্ষের সংঘাত জিইয়ে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আচমকা উপস্থিত হচ্ছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। প্রায় নজির গড়ে হাজির হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বৈঠকে। যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তারপর একাধিক ইস্যুই জিইয়ে রেখেছে দু’পক্ষের সংঘাতের রেশ। তারই মাঝে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে একাধিক বিধি প্রণয়ন করেছে রাজ্য সরকার। বিরোধীদের দাবি, নিয়ম চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কার্যত শিক্ষাদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালনার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। নতুন এই নিয়মের সমালোচনায় সুর চড়িয়েছেন প্রত্যেকে।

এই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যপাল এবং রাজ্যের সংঘাতে নয়া মোড়। ক্ষমতা খর্বের বিল পেশের পরদিনই স্থগিত করা হল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। জানানো হয়েছে অনিবার্য কারণবশত এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হল। তবে কী কারণে অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সঠিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। সাধারণত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে আচার্যের। আর এই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সে কারণেই ক্ষমতা খর্বের বিল পেশের ঠিক পরদিনই অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন।

[আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে খুন, মালদহ কাণ্ডের রহস্যভেদ পুলিশের]

রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কে জটিলতা ক্রমশই বাড়ছে। তলানিতে ঠেকছে দু’পক্ষের সম্পর্ক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আচার্য বা রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্বের মতো সিদ্ধান্তে তা আরও প্রকট হয়েছে। আর তার ঠিক পরদিনই সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত যেন সেই সংঘাতের আগুনে ঘি ঢালল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ