গৌতম ব্রহ্ম: ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে যাবে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পালনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থার বিনা অনুমোদন। পাইপলাইন বসাতে যে জমি প্রয়োজন, অনেক ক্ষেত্রেই সেই জমি রেল কিংবা অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্তর্গত হওয়ায় তারা বাধা দিচ্ছে বলে রিপোর্ট মিলেছে। আর তা দেখেই দ্রুত সমাধানে আরও তৎপর হল রাজ্য সরকার। কোন জায়গায় কী সমস্যা, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ সমীক্ষা করে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। শুধু তাইই নয়, সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাবও দিতে হবে সমীক্ষকদের। প্রতি সপ্তাহে এনিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে রিপোর্ট নেবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
রাজ্যে এই মুহূর্তে পানীয় জলের সংযোগ নেই ৯ লক্ষ পরিবারে, যার জন্য বঞ্চিত প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে সংযোগের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই কাজ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, সব জমিতে জলের পাইপলাইন বসানো যাচ্ছে। কোনওটি রেলের, কোনওটি ডিভিসির জমির আওতায় পড়ছে। তারা অনুমোদন দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে থমকে রয়েছে কাজ। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, কোথায় কী সমস্যা, তা খতিয়ে দেখে তালিকা তৈরি হোক। বের করা হোক সমাধানও।
মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর অর্থাৎ PHE-কে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি জানান, এর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি যৌথ কমিটি সমীক্ষা চালাবে। কোথায় কী সমস্যা, তা নথিবদ্ধ করতে হবে। শুধু এটুকু কাজ করলেই চলবে না। সমস্যা থাকলে তার সমাধানও দরকার। কী হতে পারে সেই সমাধান, তাও প্রস্তাব করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে এনিয়ে বৈঠক হবে। তাতে আলোচনা সাপেক্ষে আরও দ্রুত সমাধানের পথ খুলতে পারে বলে আশাবাদী মুখ্যসচিব। হাতে আর মাত্র ৪ মাস। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বত্র পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে কাজে তৎপরতা বাড়ানোর রূপরেখা তৈরি করে দিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.