গোবিন্দ রায়: বাগবাজারের সারদা মায়ের বাড়িতে ‘জমি হাঙরে’র থাবা। অবৈধ নির্মাণ আটকাতে আসরে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সৌমেন সেন পুর রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। আদালতের নির্দেশ, অবৈধ জায়গায় নির্মীয়মাণ অংশ ভেঙে ফেলতে হবে। সময় মাত্র ৩০ দিন।
সারদামায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বহু মানুষ সেখানে প্রতিদিন ভিড় জমান। ইতিহাস বলছে, বাগবাজারের বাড়িতে তখন সারদা মায়ের বাড়িতে কাজ করতেন চন্দ্রমোহন দত্ত। তাঁর শিষ্য চন্দ্রমোহন একদিন সারদা মায়ের কাছে কেঁদে ফেলেন। সারদামাকে তিনি বলেন, বাড়িওয়ালার অত্যাচারে ভাড়াবাড়িতে আর থাকতে পারছেন না। সেকথা শুনে চন্দ্রমোহন দত্তকে বাড়িটি দান করেন। এই বাড়িতে থাকা চন্দ্রমোহনের নাতি কার্তিকচন্দ্র দত্তের মৃত্যুর পর থেকে প্রোমোটারদের দৌরাত্ম্য বাড়ে বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যে বেশ খানিকটা অংশ নাকি দখলও করে নেয়। বাকি অংশে অবশ্য এই পরিবারেরই আরেক উত্তরাধিকার সমীর দত্ত এবং তাঁর ভাই বসবাস করেন।
তাঁদের অভিযোগ, মাত্র চার ফুট রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও তিনতলা বাড়ির অনুমোদন জোগাড় করে প্রোমোটর। সেইমতো কাজও শুরু করে। পুরসভায় ওই পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ২০২১ সালে ওই বাড়ি পরিদর্শনে যান পুরসভার আধিকারিকরা। তবে তা সত্ত্বেও পুরসভার আধিকারিকরা বেআইনি নির্মাণ আটকাননি বলেই অভিযোগ। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবৈধ নির্মাণ রুখতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.