গোবিন্দ রায়: দিল্লিতে কাজ করতে গিয়ে আটক বাঙালি শ্রমিকদের নিয়ে চিন্তিত কলকাতা হাই কোর্ট। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা ঠিক কীরকম, তাঁদের বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, উঠছে এমনই নানা প্রশ্ন। কেন্দ্রের কাছে সে সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
রাজ্যের তরফে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়, “আমাদের তরফ থেকে দিল্লির সঙ্গে কথা বলা হলেও তাদের উত্তর আসেনি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলার ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের খোঁজ বাংলাদেশে পাওয়া গিয়েছে।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। রুল জারি করা হবে কি না সেটা জানতে আরো কিছু তথ্য লাগবে।” কেন্দ্রের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এনিয়ে অভিযোগ জানালে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এসব খবর কানে পৌঁছতেই অবশ্য রাজ্যের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গঠিত কমিটির তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম তড়িঘড়ি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্যে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছেন।
গত ১৮ জুন, বাংলার ৬ জনকে দিল্লির রোহিণী এলাকার কেএন কাটজু থানার পুলিশ আটক করে। পরে তাদের বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। এই অভিযোগ সরব হয় তৃণমূল। হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। এর আগে ওড়িশায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তাতে অবিলম্বে মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে সচিবের নিচে নন এমন কোনও আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে মুখ্যসচিবকে। ওই আধিকারিক ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.