সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা ও বাঙালি ‘হেনস্তা’ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য চলছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। তার মাঝেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুু অধিকারী সিএএ প্রসঙ্গ তুলে নিজের মতামত জানাতে থাকেন। তার প্রতিবাদ করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁকে কার্যত খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। জানালেন, “বাংলা থেকে মাত্র ১২ জন সিএএ-তে আবেদন করেছেন। বিধানসভায় প্রস্তাব আনুন, এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনার সময় কেন এই প্রসঙ্গ আনা হচ্ছে?”
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার পথে অনেক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে সংখ্যাধিক্যের জোরে আইন পরিণত হওয়ার পর কেন্দ্রের দাবি, এটা নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। কিন্তু তারপর কতজন এই আইনে নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেছেন, কতজনই বা পেয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেন্দ্রের সওয়ালে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। বাংলায় CAA, NRC হতে দেবে না বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এনআরসির ‘জুজু’ দেখিয়ে বিজেপি সাধারণ মানুষকে বিপথে চালিত করছে।
এর মাঝেই আবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে আবেদনের জন্য মতুয়াদের বনগাঁ ঠাকুরবাড়ি থেকে মতুয়া ভক্ত এবং সাধারণ মানুষকে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের কার্ড ও হিন্দু শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চলছে। তা নিয়ে ঠাকুর বাড়ির অন্দরেও ফাটল ধরেছে। এবার কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকভাবেই সেই সিএএ প্রসঙ্গ উঠে এল বিধানসভায়। মঙ্গলবার বাংলা ও বাঙালি সংক্রান্ত আলোচনার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এনিয়ে কথা বললে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু কার্যত বাধা দেন। শুভেন্দুর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “সিএএ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে প্রস্তাব আনা হোক। তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু অন্য আলোচনার মাঝে কেন কথা বলা হচ্ছে।”
এদিন আলোচনার মাঝে বিরোধী দলনেতার নানা আচরণকে ‘সংবিধান বিরোধী’ বলে অভিযোগ তুলে সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। মার্শাল ডেকে তাঁকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তা নিয়ে বেশ শোরগোল হয় বিধানসভার অন্দর ও বাইরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.