প্রতীকী ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: চারদিন নিখোঁজ ছিল দুর্গাপুরের কিশোর। তারপর বালিগঞ্জে কয়লার ওয়াগনের ভিতরে তার উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দেহ শনাক্ত করল পরিবার। কলকাতা দেহ শনাক্ত করতে এসে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা নামাতে গিয়ে হাইটেনশন বিদ্যুতের লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোথায় কীভাবে মৃত্যু তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম সুরজিৎ রুইদা। বয়স ১৫ বছর। সে দুর্গাপুরের বাসিন্দা। দেহ উদ্ধারের আগে চারদিন নিখোঁজ ছিল সুরজিৎ। সোমবার দেহ মেলে বালিগঞ্জ কয়লার ওয়াগানের ভিতরে। সোমবার জনৈক আরপিএফকে বলে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লার ওয়াগনে কিশোরের দেহ রয়েছে। এরপরই তাদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে বালিগঞ্জ জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। রাজ্যের থানাগুলিতে মৃতদেহের ছবি পাঠানো হয়। এরপরই বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর কোক ওভেন থানা নিখোঁজ কিশোরের তথ্য দেয়। মৃতের বাড়ির লোকজন এদিন শনাক্ত করে দেহটি। শিয়ালদহের আরপিএফের সিনিয়র ডিএসসি মনোজকুমার সিং বলেন, দেহটি বাইরে থেকে এসেছিল। তবে কোথায় কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চার আগে তাকে ফোন করে রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা নামানোর জন্য ডাকাও হয়। এরপর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন কলকাতায় দেহ শনাক্ত করতে এসে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা নামাতে গিয়ে হাইটেনশন বিদ্যুতের লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের আরও অভিযোগ, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে অবৈধ কয়লার কারবারিরা শিশুদের কুড়ি, তিরিশ টাকা দিয়ে ওয়াগন থেকে বিভিন্ন সামগ্রী নামানোর কাজে লাগায়। এই কাজ করতে গিয়েই নির্মম পরিণতি হয়েছে সুরজিতের। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.