সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলেছিলেন, কর্মীরা মার খাচ্ছেন এই কথা শোনার জন্য বাংলায় আসেননি। বিজেপি কি পালটা মার দিতে পেরেছে, এটা জানতেই তাঁর বেশি আগ্রহ। মুখে এই কথা বললেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস নিয়েই বেশি শব্দ খরচ করলেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ, বাংলায় হিংসার রাজনীতি চলছে। দেশে কোথাও এমন হয় না।
[বাংলায় সংগঠন বাড়াতে কর্মীদের ঘুরিয়ে পালটা প্রতিরোধের দাওয়াই অমিতের]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দর নজির তুলে অমিত শাহর প্রশ্ন এমন মণীষীদের কর্মভূমিতে কেন এত সন্ত্রাস। কী চলছে বাংলায়। শাসক দলের প্রতি তোপ দেগে তাঁর বক্তব্য, বেছে বেছে মারধর করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ইস্যুতে বামপন্থীদের সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান শাসক দলকে এক পংক্তিতে তিনি বসিয়েছেন। বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, কমিউনিস্টদের মতো একই কাজ করছে তৃণমূল। বামেরা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করত। তার পরিণতিতে তৃণমূল এখন ক্ষমতায় এসেছে। এই সূত্র ধরে অমিত শাহের দাবি বিজেপির বাংলা জয় আটকানো যাবে না। যত অত্যাচার হবে তত বিজেপি এগোবে। তাঁর সাফ কথা, বাংলায় যেভাবে হিংসার রাজনীতি চলছে তাতে উন্নয়ন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এমনকী ৬ বছরের শিশুকেও গুলি করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন তৃণমূলকে বিঁধেছেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি বসিরহাট, বীরভূমে যা হয়েছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এই অত্যাচারের জবাব মিলবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়ে দেন বাংলায় গণতন্ত্র আক্রান্ত।
[নারদ কাণ্ডে সিবিআইয়ের ডাক মদনকে, ফের তলব শুভেন্দুকেও]
এদিন হো চি মিন সরণিতে অমিত শাহর কাছে রাজ্য বিজেপি নিয়ে গিয়েছিল ৯২টি পরিবারকে। বিজেপির দাবি, শাসকদলের কাছে আক্রান্ত হয়েছে এই পরিবারগুলি। তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এদিন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ। বিকেলে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। গতবার বাংলায় এসে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে কার্যত কেউ যাননি। তবে সেখানে কতজন হাজির হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপির অন্দরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.