ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোবেল (Nobel Prize) পুরস্কার না পাওয়ার অভিমানে ফের হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়লেন অশোকনগরের বাসিন্দা ডলি ঘোষ। বৃহস্পতি সন্ধেবেলা তাঁর এই কাণ্ড দেখে পথচারীরাই যদিও তড়িঘড়ি সামলেছেন পরিস্থিতি। ব্রিজের রেলিং বেয়ে ওঠার সময়েই তাঁকে জোর করে নামিয়ে উত্তর বন্দর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। আপাতত তিনি সুস্থ রয়েছেন।
গত ৭জুন, সন্ধেবেলা হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে গিয়েছিলেন এই মহিলা। সেবার দীর্ঘক্ষণের চেষ্টা দমকল, পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে এনেছিলেন। কেন এমন কাজ করেছেন? তার উত্তরে অশোকনগরের বাসিন্দা ডলি ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁর যাবতীয় গবেষণামূলক কাজকর্ম নোবেল কমিটিতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তার স্বীকৃতি স্বরূপ নোবেল কমিটি তাঁকে পুরস্কার নেওয়ার আমন্ত্রণও জানায়। কিন্তু তখন বয়স কম থাকায়, তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেননি বলে দাবি। ডলিদেবীর আরও দাবি, পরবর্তী সময়ে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার বদলে অমর্ত্য সেনকে দেওয়া হয়েছিল। অথচ অমর্ত্য সেনের কাজের সিংহভাগ আগেই তিনি করেছেন। এই অভিমানে তিনি হাওড়া ব্রিজে উঠে বসেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারও সেই একই বক্তব্য শোনা গেল। ডলিদেবীর দাবি করলেন, রিসার্চ পেপার তিনি জমা দিয়েছেন নোবেল কমিটিতে। পুরস্কার তাঁর বাঁধা, তবু তা দিচ্ছে না নোবেল কমিটি। যদিও এদিন আর ডলিদেবীকে নিয়ে পুলিশ, দমকলের কালঘাম ছোটেনি আগেরবারের মতো। এদিন সন্ধেবেলা তাঁকে ব্রিজের রেলিং ধরে উঠতে দেখেন পথচারীরা। তাঁরাই কর্তব্যরত পুলিশের নজরে আনেন ব্যাপারটা। তিনিই পথচারীদের সাহায্যে ডলিদেবীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া হয় নিজের বাড়িতে। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন একটা থাকছেই। হাওড়া ব্রিজের মতো কড়া নিরাপত্তাবলয়ে থাকা এলাকায় কীভাবে রেলিং ঘেরা এলাকায় ঢুকে পড়তে পারেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.