Advertisement
Advertisement
Birbaha Hansda

‘বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত নয়, মানুষকেই সচেতন হতে হবে’, হাতির হানা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্নে জবাব বনমন্ত্রীর

এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বনমন্ত্রী।

Birbaha Hansda responds to BJP MLAs' questions regarding elephant attacks
Published by: Suhrid Das
  • Posted:March 19, 2025 1:16 pm
  • Updated:March 19, 2025 1:16 pm   

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে জঙ্গলমহলের লোকালয়। হাতির হানায় আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। হামলায় মানুষের মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। সেসব বিষয় নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ ছড়াচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এবার সেই বিষয় নিয়ে আবেদন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সাধারণ মানুষ বনের জন্তুদের বিরক্ত করছে। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। তেমনই বললেন বনমন্ত্রী।

Advertisement

আজ মঙ্গলবার রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখছিলেন বনমন্ত্রী। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের একাধিক জেলায় হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই বিষয়টি সামনে আসে। হাতির হানায় কত মানুষ মারা গিয়েছেন? বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক ও নরহরি মাহাতো এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। হাতির হানায় মৃত্যু সম্পর্কে বলতে গিয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “মানুষ যেভাবে বনের জন্তুদের বিরক্ত করছে, বনের পশুদের খাদ্য যেভাবে বাজারে আনছে বিক্রি করছে, তাতে বনের পশুরা বাইরে চলে আসছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সচেতন করতে হবে। জঙ্গলের হাতি জঙ্গলে তখনই থাকবে, তাদের যখন বিরক্ত করব না। আমরা জঙ্গলে যাচ্ছি। মানুষকে সচেতন হতে হবে।” এই বিষয়ে বিধায়কদের সহযোগিতার আবেদন রাখেন বনমন্ত্রী।

গত দুই বছরে পুরুলিয়ায় ২ ও বাঁকুড়ায় ৪ জন মারা গিয়েছেন। হাতির হানায় মারা গেলে পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এছাড়াও পরিবারের একজনের চাকরি দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল থেকে হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসার ঘটনা দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় হাতির পাল বেরনোর খবর এসেছে। একটি হাতির পাল পশ্চিমের জেলাগুলির লোকালয়ে ঘুরছে। চাষের জমিতে নেমে ফসল খাওয়া ও নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। হাতির পালকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বরাবর উদ্যোগী বনকর্মীরা। হাতির কাছাকাছি যাতে কোনও সাধারণ মানুষ যেতে না পারে, সে বিষয়ও নজর রাখা হয়। উপদ্রুত এলাকায় রাত পাহারার ব্যবস্থাও থাকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ