Advertisement
Advertisement
বিজেপি

CAA’র সমর্থনে প্রচারে বুথ পিছু ১০০ পরিবারকে টার্গেট বঙ্গ বিজেপির

বাংলায় আসছেন একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা।

Bengal BJP plans grass-root level CAA awareness campaign

ফাইল ছবি

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 31, 2019 2:43 pm
  • Updated:December 31, 2019 2:44 pm   

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এর সমর্থনে রাজ্যজুড়ে কীভাবে প্রচার হবে জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে তার রূপরেখা তৈরি করে দিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গোটা রাজ্যে এক কোটি পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিএএ নিয়ে বোঝাবে দলের নেতা-কর্মীরা। বুথপিছু একশো পরিবারের কাছে যাওয়া হবে। প্রচারে নামানো হচ্ছে ২৫ হাজারের বেশি কর্মীকে। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এটাই মূলত প্রচারের ফোকাস হবে।

Advertisement

পাশাপাশি CAA’র বিরোধিতায় নেমে তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস যে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে সেটাকেও তুলে ধরা হবে গেরুয়া প্রচারে। ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রচার শুরু হবে। সিএএ নিয়ে বিরোধীদের তোলা প্রতিটা অভিযোগ ও প্রশ্নের জবাব দিয়ে লিফলেটও বানিয়েছে বিজেপি। সিএএ নিয়ে প্রচারে আরও একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীরা আসছেন বাংলায়। সিএএ নিয়ে রাজ্যে প্রচারের স্ট্র্যাটেজি কী হবে তা ঠিক করতে সোমবার আইসিসিআর-এ দলের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক ও মোর্চার সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা। বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধীদের আন্দোলনের পালটা হিসাবে সারা দেশেই জনসম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি করছে বিজেপি। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই জনসভা, মিটিং, মিছিল চলছে। সারা দেশে তিন কোটিরও বেশি পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে CAA’র সমর্থনে প্রচার চালানো হবে। শুধু বাংলাতেই ১ কোটি পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে। জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মূলত উদ্বাস্তু পরিবারের কাছেই যাওয়া হবে।

CAA’র বিরোধিতায় রাজ্যে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যে ভুল বোঝাচ্ছেন এটাই মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। বিজেপি কর্মীরা বোঝাবেন, ধর্মীয় উৎপীড়নে বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে হয়েছে। কোনও নথি নয়, হিন্দুদের নাগরিকত্ব পেতে এই ঘোষণটাই যথেষ্ট। একইসঙ্গে বোঝানো হবে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব হারানোর কোনও আশঙ্কা নেই। প্রচারে বলা হবে, তৃণমূল হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া আটকাতে চাইছে। নাগরিকত্ব বিল পাশের সময় সংসদে তৃণমূলের ৮ জন সাংসদ কেন অনুপস্থিত ছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী এক সময় সংসদে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, প্রচারে এটাও তুলে ধরা হবে মানুষের কাছে। এদিন দলীয় বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এদিন আম ও আমের আঁটির উদাহরন দিয়ে বুঝিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ভুল বোঝাচ্ছেন। আসলটা বিজেপিকে তুলে ধরতে হবে। CAA’র সমর্থনে রাজ্যজুড়েই মিছিল ও বড় জনসভা হবে। শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ