Advertisement
Advertisement
Arpita Ghosh

সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা কেন? অভিষেককে চিঠি লিখে জানালেন অর্পিতা ঘোষ

অর্পিতার জায়গায় সর্বভারতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্য কোনও নেতাকে সাংসদ করতে পারে দল।

Arpita Ghosh writes to Abhishek Banerjee after resigning from MP Post | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 16, 2021 9:09 am
  • Updated:January 3, 2022 5:30 pm   

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মেয়াদ ছিল ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার প্রায় ৫ বছর আগেই হঠাৎ  রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh)। হঠাত তাঁর এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে, তখনই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে ইস্তফার আসল কারণ বর্ণনা করেছেন বিখ্যাত এই নাট্যকর্মী।

Advertisement

অভিষেককে (Abhishek Banerjee) লেখা চিঠিতে অর্পিতা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলার কাজ করতে আগ্রহী। সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া হোক। চিঠিতে বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন,”বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর থেকেই ভাবছিলাম, দলের কাজ কীভাবে করব। আমায় যদি বাংলায় দলের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সাংসদ পদে না থেকে সেই কাজ করতে আমি বেশি আগ্রহী। আমার লক্ষ্য স্পষ্ট। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে আমি বাংলার কাজ করতে চাই।” চিঠিতে অর্পিতা স্পষ্ট লিখেছেন, “আমার মনে হয় রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় এসে কাজ করতে পারলেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।”

Arpita Ghosh writes to Abhishek Banerjee after resigning from MP Post

[আরও পড়ুন: আচমকা সাংসদপদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষের, বাড়ছে জল্পনা]

রাজনৈতিক জীবনে দল তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছেন অর্পিতা ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,”তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সদস্য হিসেবে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। উপভোগও করেছি। লোকসভার সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি, রাজ্যসভার সাংসদ পদ, দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। সেজন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।” প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন অর্পিতা। উনিশের ভোটে তিনি জিততে পারেননি। লোকসভার পর দল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায়। পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতির পদও দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে সেই পদ থেকেও অর্পিতাকে সরিয়ে দিয়েছে দল।

[আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় প্রথম একশোয় মোদির সঙ্গে মমতাও]

অর্পিতা চিঠিতে স্বেচ্ছায় সাংসদ পদ ত্যাগের কথা বললেও তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আসলে এই মুহূর্তে তৃণমূল সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই এবার অর্পিতার জায়গায় কোনও সর্বভারতীয় নেতাকে সাংসদ হিসাবে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। সূত্রের খবর, অর্পিতা একা নন, রাজ্যসভার আরও এক সাংসদের কাজও তেমন পছন্দ নয়, দলীয় নেতৃত্বের। তাঁর দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ